সংক্ষিপ্ত

ভোটের আগে ভাঙন রুখতে মরিয়া বিজেপি।  এহেন পরিস্থিতিতে দলে ভাঙন রুখতে এবং পুরভোট নিয়ে কৌশল ঠিক করতে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার।  

 

ভোটের আগে ভাঙন রুখতে মরিয়া বিজেপি (BJP)। উল্লেখ্য, দোরগড়ায় কলকাতা এবং হাওড়ার পুরোভোট (Municipal Polls)। যদিও এখনও কলকাতা হাইকোর্টে আইনি জটিলতা কাটেনি। এহেন পরিস্থিতিতে দলে ভাঙন রুখতে এবং পুরভোট নিয়ে কৌশল ঠিক করতে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার (  Sukanta Majumdar)।  

সূত্রের খবর, দিল্লির সদর দফতরে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষরে সঙ্গে বৈঠক করেছেন সুকান্ত মজুমদার। বৈঠকে মূলত আলোচনা হয়েছে পুরভোটের রণকৌশল, দলে ভাঙন এবং দলের অভ্যান্তরীন বিষয় নিয়ে। বিশেষ করে বিজেপির সংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও এবিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি বিজেপির রাজ্যসভাপতি। তবে তিনি জানিয়েছেন, সিকিমের রণকৌশল কি হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দুর্গা পুজোর আগেই ৫ বিধায়কের দলত্যাগ নাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায় সহ ৪ বিধায়কই নাম লিখিয়েছে তৃণমূলে।

আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'তৃণমূলের নিজেদের মধ্য়েই গোলা-গুলি', ক্যানিংকাণ্ডে তোপ দিলীপের

আরও পড়ুন, Child Abuse : আটক শিশু কল্যাণ দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর, হাওড়ার শিশু-নিগ্রহের ঘটনায় বড় মোড়

এহেন কঠিন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি  বিজেপির রাজ্য সভাপতি বৈঠকের পর সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'আমরা বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলছি। ব্যাক্তিগত স্বার্থ থেকে দলীয় স্বার্থ অনেক বড়ো। সকলকে অনুরোধ করছি, দলীয় স্বার্থের কথা ভেবে, আসুন একসঙ্গে কাজ করি।' প্রসঙ্গত, ভোটের আগে তৃণমূলেরও ভাঙন শুরু হওয়ার পর প্রায় সময় বিশেষ বৈঠকে বিধায়কদের দল না ছাড়ার অনুরোধ করা হতো। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দায়িত্বে থাকতেন সৌগত রায়, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, পার্থ্য চট্টোপাধ্যায়। তবুও শুভেন্দু-রাজীবদের দল ছেড়ে যাওয়াকে আটকানো যায়নি। তবে একুশের নির্বাচনে এবং উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর উলটপূরাণ  এবার গেরুয়া শিবিরে। একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

এদিকে চলতি সপ্তাহেই মানসিকভাবে বিজেপিতে নেই বলে শুনিয়েছেন উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই আচমকাই প্রবীর ঘোষালের মুখে শোনা গিয়েছিল মমতা ও অভিষেকের প্রশংসা। তখনই প্রথম বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। আর এবার পুরভোটের দোড়গড়ায় আরও একধাপ এগিয়ে তিনি তৃণমূলের মুখপত্রে কলম ধরলেন। তিনি সেখানে কেন বিজেপি করা যায় না, ওখানে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি, শীর্ষক একটি সম্পাদকীয় লেখেন  প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেছেন, বিজেপি কোনও রাজনৈতিক দল নয়। বিজেপি করা খুব মুশকিল। ভোটের সময় যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাই আজ লিখেছি। ভোট চলাকালীনও আমি দু-বার সরে যেতে চেয়েছিলাম। বিজেপিতে অনেক স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের সুযোগ নেই।'  তাই সব দিক থেকে ভোটের আগে ভরাডুবি বাচাতে  বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন  সুকান্ত মজুমদার।  

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player