সংক্ষিপ্ত
রাজীবেরর প্রত্যাবর্তণে মোটেই খুশি নন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই যেন কোনও 'প্রভাবই পড়েনি' বলে হাওয়ায় ওড়ালেন বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব, তবে বিজেপি থেকে বাবুল বিয়োগের পর রাজীবের দল ছাড়ায় 'প্রভাব না পড়লে'ও প্রতিক্রিয়া দিতে কেউ ছাড়েননি সুকান্ত-অর্জুনরা।
তৃণমূলে (TMC) ফিরতেই এদিন ত্রিপুরার বিপ্লবদেবের সরকারকে( CM Biplab Deb ) নিশান করলেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। বিজেপির পক্ষ থেকে একমাসের নিজের বলা কথা নিজেই নিলেন তুলে। বদলালেন অর্থ। কী ভূল করেছিলেন বোঝালেন সবাইকে। তবে রাজীবেরর প্রত্যাবর্তণে মোটেই খুশি নন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই যেন কোনও 'প্রভাবই পড়েনি' বলে হাওয়ায় ওড়ালেন বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব (BJP)। তবে বিজেপি থেকে বাবুল বিয়োগের পর রাজীবের দল ছাড়ায় 'প্রভাব না পড়লে'ও প্রতিক্রিয়া দিতে কেউ ছাড়েননি সুকান্ত-অর্জুনরা (Arjun Singh and Sukanta Majumdar)।
'অভিষেক আসছে, বিপ্লব দেব কাঁপছে' -রাজীব
রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায় এদিন ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশ্য়ে বলেছেন,' কংগ্রেস -সিপিএম-কে একটাও ভোট দেবেন না। ওদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপি হাত শক্ত করা। এরপরে ফের ত্রিপুরার বিজেপী সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেছেন, একবার নিরপেক্ষ ভোট হোক, আমরাও দেখিয়ে দেব ক্ষমতা। তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় কোনও গণতন্ত্র নেই। বিজেপিতে গিয়ে দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথীর সমালোচনা করেছিলাম। আমি ভুল করেছিলাম, স্বীকার করছি। বিজেপি না করলেই এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। ত্রিপুরায় কোনও গণতন্ত্র নেই। অনেক আশা করে মানুষ ত্রিপুরায় পরিবর্তন এনেছিল। কিন্তু এখন মানুষ বলছেন অবাধ নির্বাচন হলেই পাল্টে দেবেন। বিজেপিকে বিশ্বাস করে আর ভুল করবেন না। আমার মতোই আপনাদের বিশ্বাসও ভেঙে ফেলবে বিজেপি। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছিলেন ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা। তবে এদিন দলবদলের পর পুরোপুরি ৩৬০ ডিগ্রি ঘরে বলেন, ডবল ইঞ্জিনের সরকারের কথা বলে আমি বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ ত্রিপুরাতে ডবল কেন, সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকারেও গঠিত হয়নি। বক্তব্যের শেষে রাজীব আচমকাই বলেন, অভিষেক আসছে, বিপ্লব দেব কাঁপছে।'
আরও পড়ুন, Roshni Ali- হাইকোর্টে বাজি নিষিদ্ধ করার আর্জির পিছনে কে এই রোশনি আলি
রাজীবের দল ত্যাগে 'প্রভাব পড়েনি' বলে বাবুলের কথা মনে করলেন অর্জুন
অপরদিকে, রাজীবের প্রত্যাবর্তনে মোটেই খুশি নন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার মতে একজন টপ টু বটম করাপ্ট নেতাকে নেওয়া উচিত হয়নি। যদিও পাল্টা বিজেপির দাবি, রাজীবের চলে যাওয়াতে তাঁদের দলের কোনও প্রভাব পড়বে না। এদিকে রাজীব প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'একটা ইস্তফা পত্র দিয়ে যেতে পারতেন। উনি এখন যে দলে গেছেন এখন তার শ্রুতি করতে হবে। আমার মনে হয় না ওনার বিশেষ গুরুত্ব আছে, বিজেপি তো ৭৭ টা আসন জিতেছেন। আর উনি ৫০ হাজার ভোটে হেরেছেন। আমরা সবাইকে সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করি।' ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়েছেন, রাজীব তো ৫৫ বছরের শিশু। তাই বিজেপি ওকে ভূল বুঝিয়ে দলে টানতে পেরেছিল। ওকে দলে এনেছিল। ও তো কিছুই বোঝেনি। আসলে এখানে ফায়দা না পেয়ে তৃণমূলে ফিরেছে। বাবুল সুপ্রিয়োর সঙ্গে বসে কাজ করবে। এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। ত্রিপুরায় তৃণমূল আর বিজেপি কোথায় সেটা সবাই জানে। সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে