সংক্ষিপ্ত

ভয়াবহ দূষণের ধাক্কায় রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরের জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে এসেছে। তাই দূষণের জেরে এবারেও রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরে বন্ধ ছট পুজো।  

 

দূষণের (Pollution) জেরে এবারেও রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরে বন্ধ ছট পুজো (Chhath Puja 2021)। মূলতে ভয়াবহ দূষণের ধাক্কায় রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরের জলে অক্সিজেনের মাত্রা কমে এসেছে। তার উপরে ঢাকুরিয়া লেকের পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)আদেশ লঙ্ঘন করে সরোবরে ছটপুজো হলে জলজ প্রাণীর বাঁচার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই এবারেও রবীন্দ্র ( Rabindra Sarobar )এবং সুভাষ সরোবরে বন্ধ ছট পুজো।

আরও পড়ুন, By Election Result- আজ রাজ্যের ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা, ভাগ্য নির্ধারণ শোভনদেবের

উল্লেখ্য, ১০ এবং ১১ নভেম্বর ছটপুজো। দুই দিনই গঙ্গার ঘাটগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি জলাশয়ে স্নান এবং পুজোর পর পোশাক পরিবর্তনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করছে পুরসভা  এবং কেএমডিএ। রবিবার কেমএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে, ছট পুজোর পুণ্যার্থীরা থাকেন এমন ওয়ার্ডে হোর্ডিং এং পোস্টার দিয়ে বিকল্প জলাশয়ের কথা জানানো হয়েছে। যাতে কেউ রবীন্দ্র সরোবরে ব্রত পালন করতে না যান।   প্রসঙ্গত, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সুভাষ সরোবর-রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন। তবে ২০২০ সালে করোনার কারণে হাইকোর্টে নির্দেশ পুজোতেও মানতে হয়েছে উদ্য়োক্তা থেকে দর্শনার্থীদেরও। হাইকোর্ট ও পরিবেশ আদালতের রায়ই বহাল রাখার নির্দেশ  দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কেএমডিএ-আবেদন খারিজ করা হয়। গত বছর,  ছটপুজোর জন্য সাধারণ মানুষের জন্য তাদের বাড়ির কাছেই এই কৃত্রিম জলাশয় করা হয়েছিল।   মোট ৪৫ টি ঘাট করা হয়। তার মধ্যে ১৬ টি কৃত্রিম জলাশয় ছিল। সবটাই কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় যেখানে কৃত্রিম জলাশয় থাকছে তার পাশে বায়ো-টয়লেট, চেঞ্জিং রুম পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। তাই দূষণ রুখতে এবারেও গঙ্গার ৩৭ টি ঘাট এবং যোধপুরপার্ক, পোদ্দারনগর, আনন্দপুর এবং পাটুলি মিলিয়ে মোট ১৭০ টি ঘাট ছটপুজোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমার।

আরও পড়ুন, Weather- সকাল থেকেই শীতের আমেজ কলকাতায়, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে

অপরদিকে ঢাকুরিয়া লেক নিয়ে লাগাতার আন্দোলনে নামা এক পরিবেশবিদ অভিযোগ করে জানিয়েছেন, সরোবরের ধার ঘেষে চলতে থাকা পাঁচ তারা ক্লাবগুলি থেকে দূষিত বজ্য এবং রাসায়নিকের একা বড় অংশ প্রতিদিনই জলে মিশছে। জলের অম্বত্ব বৃদ্ধিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমতেই কেমডিএ এরেটর বসিয়ে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে মাছের মৃত্যু বন্ধের চেষ্টা করছে। তবে সব দিক মিলিয়ে সরোবর বন্ধ হলেও বিকল্প ব্যবস্থা থাকছে এবারেও ছটপুজোর জন্য শহর কলকাতায়।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player