সংক্ষিপ্ত
অশনি ঘূর্ণীঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে, ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জেলা সফরের দিন বদল করল প্রসাসন।
অশনি ঘূর্ণীঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায়। তার জেরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর সেই তালিকায় রয়েছে মেদিনীপুরও। এই ঘোষণার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জেলা সফরের দিন বদল করল প্রসাসন। এমনকি তার প্রশাসনিক বৈঠকও পিছিয়ে গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ১৭ মে মেদিনীপুর কলেজিয়েট ময়দানে, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ১৮ মে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। সেই কর্মসূচি ১০ মে থেকে ঠিক হয়েছিল। তবে ঘূর্ণীঝড়ের আশঙ্কার মমতার সেই কর্মসূচি একসপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১০ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে। ১১ থেকে ১৩ মে দুই ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে জোর বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।তাই নবান্নের কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর সফর পরিবর্তন করেছেন।জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও।
প্রসঙ্গত, হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন এটি ৬ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার সরছে গেছে। পশ্চিম থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে সরছে। দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে রবিবার সন্ধ্যের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড় অশনিতে পরিণত হতে পারে বলেও ভারতের আবহাওয়া দফতর অনুমান করছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে রবিবার সকাল ৫টা ৩০ নাগাদ এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসারের কেন্দ্রীভূত ছিল। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ছেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম দিতে অবস্থান ছিল। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে এটি ছিল ৩৮০ কিলোমিটার দূরে। আর বিশাখাপত্তনম থেকে এটির দূরত্ব ছিল ৯৭০ কিলোমিটার। ওড়িশার পুরী থেকে নিম্নচাপটি ছিল ১০৩০ কিলোমিটার দূরে।
আরও পড়ুন, আজই ঘূর্ণাবর্ত রূপ নিতে পারে সাইক্লোন অশনিতে, কলকাতাতেই প্রস্তুত এনডিআরএফ-র ১৭ টিম
আরও পড়ুন, দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা , ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে যাবে। সেখানেই তূব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না মৌসমভবন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে দ্রুত গতিতে শক্তি সঞ্চয় করে এটি ১০ মে সন্ধ্যায় উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এটি এগিয়ে আসতে পারে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে। যদিও শনিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়টির ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। তবে এখন গতি পরিবর্তন করতে শুরু করেছে নিম্নচাপটি।