সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কের মাঝে ছটপুজোর আয়োজন
- শহরে একাধিক কৃত্রিম জলাধারে চলল পুজোপাঠ
- 'দাঙ্গাবাজদের দেশ থেকে বিদায় করে দাও'
- ছটপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর
'যারা দাঙ্গা এবং হিংসা করে তাদেরকে দেশ থেকে বিদায় করে দাও মা। বাংলা বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ থাকেন, কিন্তু কোনও ভেদাভেদ নেই। সবাই নিজের উৎসব নিজের মতো পালন করতে পারেন এ রাজ্যে।' শুক্রবার ছটপুজোর অনুষ্ঠানে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রার্থনা, 'রাজ্য তথা দেশ থেকে করোনাকে বিদায় করে দাও। সবাইকে ভালো রাখো।'
আরও পড়ুন: 'জনপ্রতিনিধির কাছ অশালীন ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ কাম্য নয়', কল্যাণকে জবাব শুভেন্দুর
করোনা আতঙ্ক, তার উপর এবার পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট, এমনকী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেও লাভ হয়নি। কেএমডিএ-এর আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু তা বলে আর উৎসব থেমে থাকতে পারে না! শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কৃত্রিম জলাধার তৈরি করে ছটপুজোর ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: বাড়ির পাশে কৃত্রিম জলাধারে ছটপুজোর অয়োজন, সচেতনতার নজির রায়গঞ্জে
কলকাতার হেস্টিং এলাকায় তক্তা ঘাট ও দহিঘাটে শুক্রবার ছটপুজো অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, 'কেউ কেউ নির্বাচনের সময় এসে বড় বড় কথা বলে চলে যায়। আমরা সেটা করি না। সব সময় মানুষের পাশে থাকি আমরা। সব উৎসব মানুষের পাশে থাকি।' মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, 'করোনা সংক্রমণের কারণে এবার আমরা কোনও উৎসবই ভালো করে পালন করতে পারিনি। সকলে ঘরেই ছটপুজো করতে বলেছি। জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পে অনেক পুকুর কাটা হয়েছে। পুজোয় কোনও সমস্যা হবে না।' অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পুর ও নগরোয়ন্ননমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন সাংসদ সুব্রত বক্সী ও রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনও।