সংক্ষিপ্ত

 

  •  করোনা রুখতে পৃথক কন্ট্রোল রুম খুলেছে কলকাতা পৌরসভা 
  • ওই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে আছেন স্পেশ্যাল মিউনিসিপাল কমিশনার 
  •  করোনা মোকাবিলায় একটি কুইক রেসপন্স টিমও তৈরি করা হয়েছে 
  •  শহরের কোয়রান্টিনের তথ্য সংগ্রহ করে নজরদারি করা হচ্ছে 

নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত বৃহস্পতিবার থেকেই আলাদা কন্ট্রোল রুম খুলেছে কলকাতা পৌরসভা। ওই কন্ট্রোল রুমের কাজ দেখভাল করছেন স্পেশ্যাল মিউনিসিপাল কমিশনার।  করোনা মোকাবিলায় একই সঙ্গে একটি কুইক রেসপন্স টিমও তৈরি করা হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে কলকাতা লক ডাউন করে দেওয়া হয়েছে। তাই শহর জুড়ে এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ফি ৪৫০০ টাকার বেশি যেন না হয়, কড়া নির্দেশ বেসরকারি ল্যাবকে

 পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরী পরিস্থিতিতে দরকারে যাতে যোগাযোগ করা যায় তার জন্য় আগাম কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর, স্বাস্থ্য ভবনের নম্বরও রাখা থাকছে সেখানে। এদিকে রবিবার কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে কলকাতা লক ডাউন করে দেওয়া হয়েছে। তাই শহর জুড়ে এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পুর কর্তৃপক্ষ। এক পদস্থ কর্তা বলেন, 'শহরে কোয়রান্টিনে কত জন আছেন, তাঁরা কোথায় রয়েছেন, সেই সব তথ্য সংগ্রহ করে ওই এলাকাগুলিতে নজরদারি করা হচ্ছে।'  

আরও পড়ুন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোদীর আহ্বানে সাড়া , জনতা ফারফিউতে কার্যত স্তব্ধ তিলোত্তমা

সূত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই পুরসভার অফিসার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের বাড়ি থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে। জল প্রকল্প, শ্মশান-কবর স্থান, আলো-সহ জরুরি পরিষেবা দিতে কয়েকটি দফতরের কয়েকজন মাত্র কর্মী কাজ করছেন। পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পুর ভবন থেকে সব বরো অফিসগুলি অ্যালকোহল যুক্ত জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। কলকাতা পৌরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। পুরকর্মীদের সংক্রমণের আশঙ্কা সব সময়েই বেশি, কারণ প্রতিদিন তাঁদের অসংখ্য মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। সে ক্ষেত্রে এক জন সংক্রমিত হলে, দ্রুত তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা থাকছে।

শরীরে কীভাবে থাবা বসায় করোনা, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ

সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল