সংক্ষিপ্ত

  • আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট
  • জোটের ফলে নিজেদের সুবিধা দেখছে বিজেপি
  • অন্যদিকে, ভোটব্য়াঙ্কে সুযোগ দেখছে তৃণমূলও
  • কী বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা?
     

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট থেকে কার ফায়দা হবে? শাসকদল তৃণমূল নাকি বিজেপির? পশ্চিমবঙ্গে বাম কংগ্রেস শিবিরে জোটের ইঙ্গিত মেলার পরই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বাংলায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক হিন্দু ভোট। অন্যদিকে, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। বাম-কংগ্রেস জোটের ফলে এই সংখ্যালঘু ভোটব্য়াঙ্কে প্রভাব পড়তে পারে বলে রাজনৈতিকমহলের মত। এই জোট শিবির থেকে তৃণমূল-বিজেপি কীভাবে ফায়দা তুলবে? তা নিয়ে হিসেব কষা শুরু করেছে দুই শিবির।  

আরও পড়ুন-কত টাকা মাইনে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জানুন সেকথা

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করে ৩৯ শতাংশ ভোট দখল করেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৭৬টি দখল করেছিল জোট শিবির। এবার একুশের নির্বাচনেও জোটের ইঙ্গিত দিয়েছে বাম-কংগ্রেস। এই অবস্থায় জোট থেকে নিজেদের সুবিধাই দেখছে তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রাজনৈতিক সমীকরণ এবার অনেক আলাদা। কেননা, বাংলায় বর্তমানে প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে বিজেপি। নবান্ন দখলের লড়াইয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। আবার, প্রতিবেশী রাজ্য বিহার বিধানসভা ভোটের ফল তাঁদের বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে। এই অবস্থায় বাংলার নির্বাচনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে সংখ্যালঘু ভোট। তৃণমূলের সেই ভোটব্য়াঙ্কে জোট শিবির থাবা বসাতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি শিবির।

আরও পড়ুন-শহরতলির বাইরে অন্যান্য জায়গায় ট্রেন চালুর অনুমতি, রেলকে অনুমতি দিল রাজ্য সরকার

বাম-কংগ্রেস জোটের ফলে তাঁরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলবে দাবি করছে বিজেপি ও তৃণমূল শিবির। বিজেপির দাবি, ''মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সংখ্য়ালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাবে বাম-কংগ্রেস জোট। কেননা, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের হাতে ধরে রেখেছিল তৃণমূল। সেই সময় সিপিএম-কংগ্রেস থেকে হিন্দু ভোট গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। কিন্তু এবার বাম-কংগ্রেস জোটের ফলে সংখ্য়ালঘু ভোট তৃণমূলের থেকে জোট শিবিরের ঝুলিতে যাবে। ফায়দা হবে বিজেপির''।

আরও পড়ুন-'শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলেই ভাঙবে তৃণমূল সরকার', গর্জে উঠলেন অর্জুন সিং

অন্যদিকে, তৃণমূল শিবিরের পালটা দাবি, ''তাঁদের সংখ্যালঘু ভোট ব্য়াঙ্ক সুরক্ষিত থাকবে। বলা যেতে পারে ৪৫ শতাংশ ভোট তৃণমূলের ঘরেই থাকছে। সেখানে কেউ থাবা বসাতে পারবে না। বাম-কংগ্রেস জোট বিরোধী ভোটারদের টানবে। তৃণমূল বিরোধী ভোট দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। এর ফলে সুবিধা হবে তৃণমূলের। ২০১৯-এর লোকসভা বিরোধী ভোট বিজেপিতে যাওয়ায় ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু, আগামী বিধানসভা ভোটে রাজনৈতিক সমীকরণ আলাদা''।

আরও পড়ুন-ভিলেন করোনাভাইরাস, এবছর নমো নমো করেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেশী রাজ্য বিহার বিধানসভার ভোট জোর প্রভাব ফেলতে পারে এ রাজ্যেও। কেননা, বিহার সীমানা লাগোয়া বাংলার দুই জেলা মালদহ ও মুর্শিদাবাদে সেই ভোটের প্রভাব পড়তে পারে। যদিও, ওই দুই জেলায় সংখ্য়ালঘু ভোট ব্যাঙ্কটাই বেশি। সেক্ষেত্রে বাম-কংগ্রেস জোটের ফলে মুসলিম ভোট তাঁদের ঝুলিতে যেতে পারে বলেও মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।