সংক্ষিপ্ত

  • দরজায় কড়া নাড়ছে  পুরসভা নির্বাচন
  • অথচ দলে থেকেও সক্রিয় হচ্ছেন না শোভন
  • অবশেষে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
  •  ওনার সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই বললেন বিজেপি নেতা
     

দরজায় কড়া নাড়ছে  পুরসভা নির্বাচন। অথচ দলে থেকেও সক্রিয় হচ্ছেন না খোদ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। অবশেষে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য় সভাপতি জানালেন, দলে অন্যদের সঙ্গে কথা হলেও ওনার সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য় নেতার এই বক্তব্য়েই ধরা পড়েছে বিজেপির পুরভোটের প্রস্তুতির চিত্র। 

করোনা ভাইরাসের সাইজ বড়, কাপড়েই রোখা যাবে-বললেন দিলীপ

সূ্ত্রের খবর, কদিন আগেই রাজ্য়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সক্রিয় করাতে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা। সামনেই পুরসভা নির্বাচন। ঘাসফুল থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েও দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় রয়েছেন তিনি। এবার দলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান জানতে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের প্রশ্ন করলেন সর্বভারতীয় সভাপতি। মুরলীধর স্ট্রিটে  কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, দলে থেকেও শোভন কেন নিষ্ক্রিয় তা  দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের জিজ্ঞাসা করেছেন নাড্ডা। স্বাভাবিকভাবেই দলনেতার এই প্রশ্নে অস্বস্তি বেড়েছে দিলীপের। 

বিজেপিতে এখনও 'বহিরাগত', মুকুলকে নিয়ে চিন্তায় শাহ ব্রিগেড

বেহালায় শোভনের জায়গায় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রচারের মুখ করেছে তৃণমূল। পুরভোটের প্রচারে রত্নাকে পাশে বসিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সক্রিয় করতে এবার উঠেপড়ে লেগেছে সেন্টাল বিজেপি। ইতিমধ্য়েই  দিল্লি থেকে ফোন এসেছে জগৎপ্রসাদ নাড্ডার। মুকুল রায় ,দিলীপ ঘোষদের এ বিষয়ে উদ্য়োগ নিতে বলেছেন খোদ নাড্ডা। শোভন চট্টোপাধ্য়ায় দলে থেকেও কেন প্রচারে যাচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিবাদ ভুলে শীঘ্রই দলের প্রচারে শোভনকে নামাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 

পুলিশ ধরার আগেই 'চিরঘুমে' রোদ্দুর, ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে 'রেস্ট ইন পিস'

এদিন যা নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য় সভাপতি বলেন, কোনও পরিপক্ক রাজনীতিবিদকে জোর করে কাজ করানো যায় না। শুনেছি ওনার সঙ্গে দলের অন্যদের কথা হয়। তবে আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তবে পুরসভার নির্বাচন নিয়ে যে তারা খামতি রাখছেন না তা পরিষ্কার করে দেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, স্থানীয়  ইস্যুর ওপর ভিত্তি করেই পুরসভার নির্বাচন হয়। প্রার্থী বাছাই করতে ওয়ার্ডবিত্তিক সমীক্ষা করা হচ্ছে। অনেকেই প্রার্থী  হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পেশাদার সংস্থাকে সমীক্ষার ভিত্তিতেই স্থির হবে প্রার্থীর নাম।