সংক্ষিপ্ত

  • কথা বলতে অসুবিধা হতেই মদন মিত্রের গলা পরীক্ষা করা হয়  
  • এরপরই মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়ে  
  • এইমুহূর্তে কয়েকটি এক্সেসাইজ করতে বলেছেন চিকিৎসকেরা 
  •  এরই সঙ্গে চলবে স্পিচ থেরাপি,কমলো কিনা তা  দেখতে হবে
     


মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়েছে। উল্লেখ্য,  সোমবার নারদকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ফিরহাদ, শোভন, সুব্রত, মদন।   প্রথমে কোভিডের ক্ষত ধরা পড়ে মদন মিত্রের ফুসফুসে। আর এবার তার ভোকাল কর্ডের পরীক্ষা করতেই টিউমার ধরা পড়েছে। 

আরও পড়ুন, 'ভুল সিদ্ধান্তে অন্য দলে গিয়েছিলাম- ক্ষমা করে দিন', দলে ফিরতে চেয়ে মমতাকে চিঠি সোনালির 

 

 

প্রসঙ্গত, ভোট চলাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এরপর করোনা থেকে সেরে উঠলেও কোভিডের ক্ষত ধরা পড়ে মদন মিত্রের ফুসফুসে। এদিকে হাইকোর্টে নারদকাণ্ডে শেষমেষ দীর্ঘ টানাটানির পর জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পান  ধৃত চার হেভিওয়েট মদন-শোভন-সুব্রত-ফিরহাদেরা। তবে মুক্তি পেলেও  থাকতে হবে গৃহবন্দি। এই অবস্থায় ফিরহাদ আগের থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেম থেকে ছুটি পাননি মদন-শোভন-সুব্রত। ইতিমধ্যেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছে। আর এবার টিউমার ধরা পড়ল মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে।

আরও পড়ুন, আসছে ঘূর্ণীঝড় 'যশ', রাতভর কন্ট্রোলরুমে থাকবেন মমতা, বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস 

 

 

শনিবার কামারহাটির বিধায়ককে দেখতে আসেন চিকিৎসকেরা। বারবার গলা ভেঙে যাওয়ায়, কথা বলতে অসুবিধা হওয়ায় মদন মিত্রের গলা পরীক্ষা করা হয়। এরপর পরীক্ষা করতে ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়ে। ইতিমধ্যেই মদন মিত্রকে কয়েকটি এক্সেসাইজ করতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। এরই সঙ্গে চলবে স্পিচ থেরাপি। এই মুহূর্তে তিনি এসএসকেমের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নাম্বার ঘরে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেছেন, মদন মিত্রের বাঁদিকের কর্ডে ছোট্ট একটা ভোকাল অ্যাঞ্জিওমা পাওয়া গিয়েছে। ওনাকে গলার উপর বেশি জোর না দিতে পরমর্শ দেওয়া হয়েছে। ওনার স্পিচ থেরাপি করতে হবে। ওটা কমলো কিনা তা মাঝে মাঝে দেখতে হবে।' বিষয়টি এখনই সারিয়ে নেওয়া উচিত বলে মত চিকিৎসকদের। তাঁদের অনুমান, ভোটের প্রচারে গলার উপর অত্যাধিক চাপ পড়েই এমনটা হয়েছে।