সংক্ষিপ্ত
গত ১১ বছরে এমন বিরোধিতার সম্মুখিন হতে হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়ে ক্ষমতায় থাকলেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবং দল তৃণমূল কংগ্রেস। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মোদীকে এই নিয়ে ক্লিনচিট দিলেও বিঁধেছেন বিজেপি দলকে। সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেন। সময়টা বিকেল। আকাশ মেঘলা। মাঝে মাঝে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। রোড রোড থেকে সেই যে গাড়িটা যানজটের গহ্বরে ঢুকে গেল, আর বের হওয়ার নাম নেই। প্রথমে একান্ত সাক্ষাৎকার-এর সময়টা ছিল দুপুর ২টা। কিন্তু, রাজ্যে আরএসএস-এর অন্যতম স্থপতি এবং ভারতীয় মজদুর সংঘের অন্যতম কৃতি নেতা কেশব রাও দিক্ষীতের প্রয়াণে সাক্ষাৎকার-এর সময়টা পিছিয়ে গিয়েছিল ৩টায়। রাজভবনের সামনে ঘড়ির কাঁটা তখন ৩টে ২০ পার করে ফেলেছে। ধুত্তোরি বলে গাড়ি থেকে অবশেষে নেমে পড়া। যানজটের চক্রে আটকে পড়া গাড়ির হর্নের প্রবল আর্তনাদ। সামান্য ফাঁক পেলে উইসেন বোল্টের গতি নিয়ে ঢুকে পড়ছে পিছন থেকে আসা গাড়ির দল। কোনওভাবে সামলে রাস্তা পেরিয়ে চৌরঙ্গী রোড ধরে তাড়স্বরে অনেকটা দৌঁড় প্যাটানের হন্টন। সামনে তখন বামেদের দুই যুব এবং ছাত্র সংগঠনের বিপুল সমাবেশ, চারিদিক ভিড়ে ভিড়ে ছয়লাপ। সেই ভিড় ঠেলেই জায়গা বানিয়ে ছুট। গন্তব্য মুরলিধর সেন লেন, বিজেপি দফতর।
প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা তাড়াহুড়োর সময় হাঁটাটা কতটা যে কষ্টকর তা ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছিল। তারমধ্যে মাঝে মধ্যেই মাথার উপরে কিনচিত বারিধারার স্পর্শ। আতঙ্ক বাড়িয়ে দিচ্ছিল। বিজেপি পার্টি অফিসে রাজ্য সভাপতির চেম্বারের দরজাটা ঠেলে ঢুকতেই দেখা গেল সুকান্ত মজুমদার মুড়ি খেতে ব্যস্ত। সারাদিনের ব্যস্ততায় সেভাবে কিছুই খাওয়া হয়নি তাঁর- দেখে যা বোঝা গেল। কিন্তু, উপায় নেই-এমনিতেই লেট, তারপরে এখন গৌরচন্দ্রিকা শুরু হলে সাক্ষাৎকার আর নেওয়া হয়ে উঠবে না। অডিও রেকর্ডার অন করেই সরাসরি প্রশ্নবান বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- একের পর এক দুর্নীতিতে ধরপাকড় চলছে, জালে অনেকেই, রাঘব বোয়ালরা কি আদৌ ধরা পড়বে?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় কি রাঘব বোয়াল নন, আপনার কি মনে হয়? অনুব্রত মণ্ডল কি রাঘব বোয়াল নন! এরা তো সব বড়সড় বোয়াল। এবার রাঘব কি রাঘব নন, তা আপনার ঠিক করবেন। কিন্তু এরা সব বড়-সড় মাছ। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এমন একজন ব্যক্তি তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নামক দলটার একটা সময়ে বিরোধী দলনেতার পদে ছিলেন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী আবার মুখ্য-সচেতক। এত এত পদ সামলিয়েছেন তিনি- এতো চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যথেষ্টই বড় মাপের নেতা। সে ভিতরে গিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে তিনি যদি মুখ খুলে দেন একটু...এই সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের তো সিবিআই চড় থাপ্পড় মারতে পারে না, তাই তিনি যদি একটু মুখ খুলে দেন তাহলে এর পিছনে আরও বড় কোনও মাথা যদি থেকে থাকে তাহলে তারাও আস্তে আস্তে জেলে ঢুকবে।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- বিধানসভার মধ্যে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের পিছনে মোদীর হাত নেই বলে মন্তব্য করছেন, এই ধরনের রাজনীতির পিছনে কি অন্য কোনও গভীর চাল লুকিয়ে রয়েছে?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- প্রথম কথা হচ্ছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা নতুন কিছু বলছেন না। তবে মোদীজি-কে তাঁর সার্টিফিকেট দেওয়ার কোনও দরকার নেই। এই ধরনের কৌশল অতিত থেকেই চলছে। যখন বাজপেয়িজি ক্ষমতায় ছিলেন তখন এঁরা বলতেন বাজপেয়ি ভালো পার্টিটা ভালো না। বাজপেয়ি ভালো আডবাণী ভালো না। বাজপেয়িজি রিটায়ার করে গেলেন, তখন বলা হত আডবাণী ভালো মোদীজি ভালো না। এখন মোদীজি ভালো অমিত শাহ ভালো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকটা বুদ্ধং শরণং গচ্ছামির মতো মোদী শরণং গচ্ছামি আওড়াচ্ছেন। মরার সময় মকরধ্বজ দিয়ে লাভ নেই। এ সব করে লাভ নেই। জেলে যাবেন-ই ওনার পরিবারের লোকজন।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- নবান্নে বিমান বসুদের বসিয়ে ফিস-ফ্রাই দৌত্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বলেছিলেন এটা রাজনৈতিক সৌজন্য, বিধানসভার ভিতরে মোদীর নামে ক্লিনচিট দিয়ে ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি নমষ্কার ছুঁড়ে দিয়ে সৌজন্যের রাজনীতির আরও এক বার্তা দিতে চাইলেন কি?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধান্ধাবাজি। রাজনীতি করে বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করেছেন, সেই সাম্রাজ্য ধরে রাখার জন্য একটা ধান্ধাবাজির আশ্রয় নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- আদালতের মধ্যে বিচারকের সামনে কেঁদে ফেলছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আদালতের বাইরে চিৎকার করছেন, একি পাপ স্খলনের যন্ত্রণা, কি বলবেন?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য কথায় আছে- ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। এখন জেলে গিয়েছেন, বুঝতে পারছেন চারপাশটা।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- একের পর এক দুর্নীতিতে বিধ্বস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। যখন-ই কিছু হচ্ছে অভিযুক্তর থেকে হাত ধুঁয়ে নিচ্ছে তারা। অর্থ নিয়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ থেকে গরু পাচার, চিটফান্ড-একাধিক অভযোগ ও ধরপাকড়ে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। এই সরকার কি লেম ডার্কের দিকে এগোচ্ছে?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- সরকারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই সব বলে দিচ্ছে। নেতা-নেত্রীদের কাঁধ ঝুঁলে গিয়েছে। আপনারা তো দেখেছেন বিধানসভার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে ফিরহাদ হাকিম - সকলের ঘাড় ঝুলে গিয়েছে। কারও-ই আর সেই কনফিডেন্স নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা কক্ষে বিরোধীদের দিকে এসে নমষ্কার করছেন- এটা ভাবাই যায় না। এমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ কোনও দিন দেখেননি। বিজেপি এই পরিবর্তনটা করতে পেরেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণতন্ত্র শেখাতে পেরেছে। বোঝাই যাচ্ছে আগামি দিনে এই সরকারের কী হবে।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- শোনা যাচ্ছে শাসকদলের বেশকিছু নেতা এবং বিধায়ক ইতিমধ্যে ব্যাক চ্যানেল কমিউনিকেশন শুরু করেছেন আপনাদের সঙ্গে, অনেকটা ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে পরিস্থিতি হয়েছিল ঠিক তেমন একটা মুহূর্ত, কি বলবেন?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- সেটা সময় এলেই জানতে পারবেন। তবে আমরা পচা আলু নেব না।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- কিন্তু কিছু তো আধ পচা আলুও তো রয়েছেন এই ব্যাক চ্যানেল কমিউনিকেশনে, তাঁদের সম্পর্কে রাজ্য বিজেপি-র কি অবস্থান?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- তারা আসুক, আমরা এই মুহূর্তে কিছু বলবো, তখন পার্টি যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মানা হবে।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, নবান্ন অভিযান গ্রামাঞ্চলের বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের কতটা চাঙ্গা করতে পেরেছে?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- গত ২ বছর ধরে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা যে অত্যাচারটা সয়েছেন, তারই বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছে নবান্ন অভিযানে। এই কর্মসূচি পার্টি কর্মী ও সমর্থকদের যথেষ্ট মনোবল জুগিয়েছে। আমার কাছে যতটুকু খবর রয়েছে তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। কর্মীরা লড়াই করতেও তৈরি। পুলিশের ভূমিকায় প্রবল ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। নবান্ন অভিযানের মধ্যে দিয়ে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আগামী দিনে তাঁদের প্রতিবাদ কীভাবে হবে।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন কোন জেলায় আপনাদের ভালো হবে বলে আশাবাদী?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- পঞ্চায়েত নির্বাচনে গতবারের থেকেও ভালো ফল হবে। গতবার ৫০০০ বেশি আসন পঞ্চায়েতে আমরা জিতেছিলাম। এবার তার থেকে বেশি হবে। তবে, পুরো পশ্চিমবঙ্গে আমরা এবারও হয়তো ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করাতে পারবো না। কারণ সব জায়গায় সেই প্রতিরোধটা আমরা গড়ে তুলতে হয়তো সমর্থ হব না। আর তৃণমূল কংগ্রেসও ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করাতে চাইবে না। তবে যেখানে যেখানে আমকা মিনিমাম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবো, সেখানে বিজেপি-র ভালো ফল হবে। এটা সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই হবে।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- ২০১৯-এ পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজির বিহীন সন্ত্রাস হয়েছিল, বিরোধীরা এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই পারেনি, এমন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবার আপনাদের টোটকা টা কি হবে?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- কর্মীরা কোমর বেঁধে লড়াই করবে। যেমন দেবতা, তেমন ফুলেই তাঁকে পুজো করা হবে। ২০১৯-এর মতো এক্কেবারে ছাড় পাবে না। আমাদের এতগুলো বিধায়ক এবং সাংসদরা রয়েছেন। তারা তো এলাকায় এলাকায় যাবেন। সুতরাং প্রতিরোধ হবেই এবং ভালোমতোই হবে।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- একটা খবর চাউড় হয়েছে যে রাজ্য়ে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মহালয়ার দিন তিনি আসতে পারেন বলেও খবর, রাজ্য বিজেপি-র কাছে কি খবর?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই। অমিত শাহ যে রাজ্যে আসছেন বা আসতে পারেন এমন কোনও সম্ভাবনার কথাও এখন পর্যন্ত আমরা জানি না। তবে, এখান থেকে কিছু পুজোর উদ্বোধনের অনুরোধ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। সময় বের করলে আসতে পারেন। তবে ফাইনাল কিছু জানাননি।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- একবার দুর্গাপুজোর ভার্চুয়ালি রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্দেশে বার্তা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার কি তেমন কোনও পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী-র?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদী এমন কোনও কর্মসূচি নিলে অবশ্যই আমরা জানতে পারবো। তবে, এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত তথ্য নেই।
দেবজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- রাজ্য বিজেপি ঘোষণা করেছে তারা যে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল, তা এবার ছোট করে করা হচ্ছে এবং আগামী বছরে আর এই পুজো হবে না, কেন?
সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সভাপতি, বিজেপি- একটা পুজোর ঝক্কি অনেক। বিশেষ করে আর্থিক দায়বদ্ধতা বিশাল রকমের। দুর্গাপুজোর মতো একটা পুজো করতে ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায় রাজ্য বিজেপি-র। আমাদের এত আর্থিক অবস্থা ভালো নয় যে প্রতিবার এই বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করে পুজো করা সম্ভব। এই অর্থ দিয়ে জনহিতকর কাজে লাগাতে পারলে অনেক বেশি উপকার হয়। আমরা পুজো শুরু করেছিলাম। বাঙালিদের নিয়ম আছে টানা তিনবার অন্তত পুজো করতে হয়। এই বছর এই পুজোর তৃতীয় বর্ষ। তাই এবারের মতো ছোট করে পুজো করে আগামী বছর থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর পুজো করা মানে আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়া। পুজোর দিনগুলোতে পরিবারকেও সেক্ষেত্রে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। এই সব মিলিত কারণে দুর্গাপুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-
মদন মিত্র,কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে পচা মাল বলে আখ্যা দিলেন সুকান্ত মজুমদার
বাংলায় এখন সুপার সিএম-এর রাজ, অভিষেককে সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করে মমতাকে ঠুকল বিজেপি
'অন্তর্জলী যাত্রার সময় এসেছে এই সরকারের' - মন্তব্য করলেন সুকান্ত মজুমদার