সংক্ষিপ্ত
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পেশ হতে চলেছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডির প্রথম চার্জশিট। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ২ ট্রাঙ্ক ভর্তি চার্জশিট নিয়ে হাজির ইডি। এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে ৫৮ দিনের মাথায় চার্জ শিট পেশ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'সেঞ্চুরি' পেরোল পার্থ-অর্পিতার নামে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ। সোমবার এমনটাই জানানো হল ইডি সূত্রে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি।
চার্জশিট পেশের আগে একটি বিবৃতিতে তদন্তকারী সংস্থার তরফে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির হিসেবে বলা হয়েছে, শুধু পার্থ ও তার সহোযোগীর নামেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪৮.২২ কোটি টাকার সম্পত্তি। এছাড়া অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে আগেই উদ্ধার হয়েছিল ৪৯.৮০ কোটি নগদ টাকা। উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সোনাদানা, যার মূল্য ৫.০৮ কোটিরও বেশি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০৩.১০ কোটি টাকার সম্পত্তি। পার্থর নামে উদ্ধার হওয়া ৪৮.২২ কোটি টাকার মধ্যে ৪০.৩৩ কোটি টাকার ৪০টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া সন্ধান মিলেছে ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যেখানে রয়েছে ৭.৮৯ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পেশ হতে চলেছে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডির প্রথম চার্জশিট। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ২ ট্রাঙ্ক ভর্তি চার্জশিট নিয়ে হাজির ইডি। এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে ৫৮ দিনের মাথায় চার্জ শিট পেশ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবারই ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হতে পারে চার্জশিট পেশ করা হবে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে চার্জশিটে নাম থাকছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ আরও কয়েকজনের।
আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট না পেশ করতে পারলে জামিন পেতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার্যত সেই আশঙ্কা থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। তাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মূল হোতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন - 'বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি', আদালতের কাছে 'যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে' জামিনের আবেদন পার্থর
গত ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের অপসারিত মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ২২ জুলাই তার নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পাশাপাশি পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের আবাসনেও পৌঁছয় ইডি আধিকারিকরা। সেখান থেকে নগদ ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও প্রায় ২৮ কোটি টাকা ও বিপুল সোনাদানার হদিশ মেলে। এখানেই শেষ নয়, পার্থ-অর্পিতার গ্রেফতারির পর তদন্তে উঠে আছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন - ফের সিবিআই-এর আতশকাচের নীচে পার্থ-ঘনিষ্ট, মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ