সংক্ষিপ্ত
রাত সাড়ে ১২টায় এক জন মহিলাকে তলব করা কি আদৌ আইনসম্মত? মহিলাদের গ্রেফতার বা তলব করার ক্ষেত্রে আর কী কী নিয়ম রয়েছে? এ প্রসঙ্গে কী বলছেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা? ঘটনা ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন।
মধ্যরাতে ইডির তলব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে। সেই মত আইনজীবীকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছন মেনকা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এত রাতে কেন একজন মহিলাকে তলব করা হল? তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। মহিলাদের গ্রেফতার এবং তলব করা নিয়ে আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। কেনই বা সেই নিয়ম মানা হল না? রাত সাড়ে ১২টায় এক জন মহিলাকে তলব করা কি আদৌ আইনসম্মত? মহিলাদের গ্রেফতার বা তলব করার ক্ষেত্রে আর কী কী নিয়ম রয়েছে? এ প্রসঙ্গে কী বলছেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা? ঘটনা ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন।
রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় ইডির দফতরে তলব করা হয় মেনকা গম্ভীরকে। নির্ধারিত সময়ই আইনজীবী সৌমেন মহান্তিকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে যান অভিষেকের শ্যালিকা। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সেখান থেকে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। কিন্তু মাঝরাতে একজন মহিলাকে কেন তলব করা হল সেবিষয় নিয়ে শোরগোল শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ইডির পক্ষ থেকে অবশ্য গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা হিসেবে 'ভুল' করে ‘পিএম’-এর জায়গায় ‘এএম’ লেখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মেনকা গম্ভীরকে তাঁরা রাত সাড়ে ১২ টা নয়, বরং ডাকতে চেয়েছিলেন দুপুর ১২ টায়। গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করা হয়েছে ইডির পক্ষ থেকে।
এই বিষয় হাই কোর্টের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলছেন, ‘‘রাত বা দিন যে কোনও সময় কোনও মহিলাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করা যায়। তবে তদন্তকারী সংস্থাকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন মহিলাদের ক্ষেত্রে মহিলা পুলিশ অফিসারের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া যে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁর নিকট কোনও আত্মীয়কে জানানোর অধিকার-সহ অন্যান্য আইনগত সুরক্ষা দিতে হবে।’’
আরও পড়ুন - তিন মাসে শহর থেকে রেকর্ড পরিমাণ টাকা উদ্ধার ইডির, 'সেঞ্চুরি' ছুল টাকার অঙ্ক
অন্যদিকে, হাইকোর্টের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘যে বাড়িতে মহিলা রয়েছে, সন্ধ্যা ৬টার পর সেখানে তল্লাশি চালানো যাবে না। যদি মনে হয় কোথাও সেই মহিলা অপরাধী লুকিয়ে রয়েছে, সে ক্ষেত্রে বাড়িটি পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। তার পর সূর্যোদয়ের পর গ্রেফতার করতে হবে। এটি হল মহিলাদের গ্রেফতারের পদ্ধতি।" পাশাপাশি তিনি এও বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে ‘এম’, ‘পিএম’ গুলিয়ে ফেলাটা একেবারেই কাম্য নয়।’’
আরও পড়ুন - 'ই-নাগেটস' গেমের মাধ্যমে কোটি টাকার প্রতারণা, ইডির তদন্তে ফাঁস হল গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর টাকার উৎস
আরও পড়ুন - গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৫ কোটি টাকা উদ্ধার, খাটের তলা থেকে মিলল নোটের বান্ডিল