সংক্ষিপ্ত
বছর ১৪ আগে দুই পরিবারের সম্মিতিতেই বিয়ে হয়েছিল প্রিয়াঙ্কা আর রুবেলের। দম্পতির ১২ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু দাম্পত্য কলহ ছিল নিত্যসঙ্গী।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extramarital affair) জেরে ছেলের সামনেই মাকে কুপিয়ে খুন (Murder) করা হল। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নিহতের স্বামী। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের (Newtown) শুলংগুড়ি দক্ষিণ পাড়া এলাকায়। দিনেদুপুরে এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আত্মীয়রা রাস্তার নর্দমার পাশ থেকে প্রিয়াঙ্কা হালদারের রক্তান্ত দেহ নিয়েগিয়েছিল বিধানগর হাসপাতালে (Bidhannagar Hospital)। কিন্তু সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রুবেলকে।
বছর ১৪ আগে দুই পরিবারের সম্মিতিতেই বিয়ে হয়েছিল প্রিয়াঙ্কা আর রুবেলের। দম্পতির ১২ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু দাম্পত্য কলহ ছিল নিত্যসঙ্গী। এর আগে একাধিকবার প্রিয়াঙ্কাকে মারধরও করে রুবেল। অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবেশীদের মত অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রুবেলের। তারই আচ পড়ত প্রিয়াঙ্কার সংসারে। মাঝে মাঝেই রুবেল অত্যাচার করত। এই নিয়ে আইনি লড়াই চলছি। ছেলেকে নিয়ে সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা তাঁর বাপের বাড়িতেই থাকতেন।
Kangana Ranaut: 'পাগলামি না রাষ্ট্রোদ্রোহিতা' কী বলব, কঙ্গনার মন্তব্যের পর প্রশ্ন বিজেপি নেতার
Chennai Rain: বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ুতে মৃত ১৪, চেন্নাই বিমান বন্দর থেকে বন্ধ উড়ান
এদিন সকালে ছেলেকে পড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই বসে ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারপর এক মহিলা সেখানেই প্রিয়াঙ্কাকে ডাকেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রিয়াঙ্কা বেরিয়ে আসতেই দা দিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকে স্বামী রুবেল। তারপরই সেখান থেকে চম্পট দেয় সে। এই ঘটনা দেখতে পায় প্রিয়াঙ্কার সন্তান। সেই মামার বাড়ি গিয়ে মামিকে সমস্তটা জানায়। এই ঘটনার পর প্রিয়াঙ্কার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা দেখতে পান বাড়ির বাইরে নর্দমার সামনে পড়ে রয়েছে প্রিয়াঙ্কার দেহ। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় প্রিয়াঙ্কার।
এই ঘটনার পরই রুবেলকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কার ছেলে রুবেলের অভিযোগ, তার বাবা যখন মাকে কোপাচ্ছিল তখন গোটা পাড়া দাঁড়িয়ে দেখছিল। তার বাবা রুবেল তাকেও খুন করে দিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সে পালিয়ে যাওয়ায় কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। প্রিয়াঙ্কার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে চোখের সামনে মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু রেখে এখনও ট্রমার মধ্যে রয়েছে তার ১২ বছরের সন্তান।