সংক্ষিপ্ত

কার্ডিওলজির আইসিসিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। 

রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) প্রয়াত। আজ রাত ৯টা ২২ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পঞ্চায়েতমন্ত্রীর (Panchayet Minister) শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএমে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ হাসপাতালে যান মমতা। কার্ডিওলজির আইসিসিউতে (cardiology) চিকিৎসাধীন ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। 

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাজনৈতিক মহীরুহের পতন। মাননীয় সুব্রতবাবুর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ২৬ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভায় উনি সদস্য হয়েছিলেন। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর খুব কাছের মানুষ ছিলেন উনি। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। আর তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।"  

আরও পড়ুন- একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান, প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়

আরও পড়ুন- 'সুব্রতদার মৃত্যু আমার কাছে সবথেকে বড় দুর্যোগ', ভেঙে পড়লেন মমতা

পাশাপাশি মন্ত্রীর প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই টুইটারে শোকপ্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লেখেন, "বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রীর প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার ও সমর্থকদের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। ওম শান্তি।"

 

প্রসঙ্গত, ২৪ অক্টোবর শারীরিক পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন সুব্রত। পরীক্ষা চলাকালীনই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল। এরপর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে উডবার্নের আইসিসিউ-তে ভর্তি করেছিলেন চিকিৎসকরা। পরে কার্ডিওলজি আইসিইউ-তে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। সুব্রতকে ‘নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন’ বা বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেনও। পরে তাঁর বুকেও সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় গত সপ্তাহে বাইপ্যাপ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছিল। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সোমবার সুব্রতর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও করা হয়। দুটি স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। তারপর ঠিকই ছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন- শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল, অথচ কালই শেষযাত্রা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের

গোয়া সফর শেষে হাসপাতালে সুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মমতা। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাঁর শারীরিক অবস্থার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপর সেখানে একে একে যান মমতা ও তৃণমূলের প্রথমসারির অন্য নেতা মন্ত্রীরা। তারপরই সুব্রতর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়।