সংক্ষিপ্ত
কেকে-র অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চের এসি মোটেই খারাপ হয়নি, নাই বা ছিল তখন বন্ধ, তবে বাধনহারা ভিড় হয়েছিল মানলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ' কার হৃদয় কখন টুক করে বন্ধ হয়ে যায়, কেউ জানে না। এমনকি এই যে আমি কথা বলছি, একটু বাদেই যে আমি থাকবো কিনা, তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না', বিস্ফোরক ফিরহাদ।
কেকে-র অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চের এসি মোটেই খারাপ হয়নি, নাই বা ছিল তখন বন্ধ, তবে বাধনহারা ভিড় হয়েছিল মানলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কেকে এতটাই জনপ্রিয়তা, সেই কারণে যুব সম্প্রদায় ভিড়ের মত ছেঁকে ধরে। এমনকি গতকালকেই আমাকে কেএমডিএ থেকে বলা হচ্ছিল, আর কলেজকে দেবেন না। কারণ সিটের উপর কলেজ পড়ুয়ারা নাচানাচি করে। সিট ভেঙে যায়। আর এরকম একজন জনপ্রিয় শিল্পী কেকে, তিনি কলকাতায় পারফর্ম করছেন, স্বাভাবিকভাবেই সেই জনস্রোতকে আটকানো যায়নি। ইয়ং ছেলে মেয়েরা পাগলের মত ছুটে যাচ্ছে।'
জানা গিয়েছে, কেকে-র অনুষ্ঠান শুরুর আগেই নজরুল মঞ্চের বাইরে লাগাম ছাড়া ভিড় হয়। নিরাপত্তারক্ষী অনুযায়ী, সেই ভীড় অনেক বেশি ছিল। শেষ অবধি অত্যাধিক পরিমাণে বাধনহারা ভক্তদের ভিড়ের জেরে নজরুল মঞ্চ, তাঁদের মেন গেট খুলতে বাধ্য হয়। আর এরপরেই ওই লাগামছাড়া জনতা ভিতরে ঢুকে পড়। প্রিয় গায়ককে দেখে, এবং তালে তালে গান গেয়ে ওঠে সবাই। খানিকটা উত্তেজিত ছিলও বলে জানা গিয়েছে। আর এরপরেই হয় এককাণ্ড, আচমকাই নাকি এসি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে এসি কাজ করছিল না বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন কলকাতার মেয়র।
ফিরহাদ বলেছেন, এসি আমাদের নজরুল মঞ্চের এসি যথেষ্ট ভাল। আমরা গেলে বলি কমাতে। কিন্তু দরজা খোলা থাকলে , যখন অতো লোক একসঙ্গে ঢুকে যায়, তখন এসি-রও তো ক্ষমতার বাইরে যায়। যেটা ২৭০০-র ক্ষমতা রাখে, সেটা যদি ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায় জনসংখ্যা, তাহলে কীকরে হবে। অনেক বেশি ভিড় হয়েছে। তারপর শুনলাম যে, পাঁচিল টপকে টপকে ছেলে মেয়েরা ঢুকেছে। কেন নিয়ন্ত্রন করা যায়নি, এপ্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, কারণ মানুষের উচ্ছ্বাস। মানুষের উচ্ছ্বাস যখন হয়, তখন হইহই করে বাচ্চারা দৌড়ে আসে। সেখানে কন্ট্রোল কে করবে। তারমধ্যে তো পুলিশ লাঠিচার্জ করতে পারে না।'
তিনি আরও বলেন, 'অনুষ্ঠানে কেকে-কে মানুষ দেখতে চাইছে, গান শুনতে চাইছে, তাঁদের কি লাঠিচার্জ করা যায়, প্রশ্ন ছোঁড়েন পাল্টা ফিরহাদ। এরপরেই তাহলে কি নজরুল মঞ্চে কলেজের অনুষ্ঠান দেওয়া হবে না, প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কেএমডিএ জানিয়েছে কিন্তু আমি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে 'স্টেজের উপর কোনও কিছু ছোঁড়া হয়নি, আপনারা বরাবরের মতোই বিতর্কিত স্টোরি বানান। কিন্তু কার হৃদয় কখন টুক করে বন্ধ হয়ে যায়, কেউ জানে না। এমনকি এই যে আমি কথা বলছি, একটু বাদেই যে আমি থাকবো কিনা, তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না', বলে রাশ টানেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন, 'পেয়ার কে পল'-সহ মোট ২০ টি গান, নজরুল মঞ্চে শেষ গানের কথা মিলিয়েই চিরঘুমের দেশে কেকে