সংক্ষিপ্ত

  • 'পরামর্শ মানব কি না সেটা আমাদের বিষয়' মন্তব্য় বেসরকারি  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের
  • 'পরামর্শ না-মানলেই লাইসেন্স বাতিল'
  • 'কমিশনের ক্ষতিপূরণ দেওয়ানোরও ক্ষমতা রয়েছে' 
  • সাফ জানালেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়

পরামর্শ না-মানলেই বেসরকারি হাসপাতালের  লাইসেন্স বাতিল দেওয়া হবে জানাল  কমিশন।  অ্যাডভাইজারি না মেনে চলার খবর পেলেই কমিশনের তরফে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে লাগাম ছাড়া বিল, রোগী ফিরিয়ে দেওয়া বা অ্যাডভাইজারি নিয়ম লঙ্ঘনে  লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

দেখুন, লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালু করতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, রেল মন্ত্রককে চিঠি স্বরাষ্ট্রসচিবের

প্রসঙ্গত, করোনা চিকিৎসার খরচ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজ়রির সংখ্যা দশ থেকে পনেরো হওয়া মাত্র বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'কমিশন যা বলছে সবই অ্যাডভাইজ়রি। সেই সব পরামর্শ মানব কি না সেটা আমাদের বিষয়।' এরপরেই শুক্রবার স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'অ্যাডভাইজারি দেওয়ার পরে তা মানা হচ্ছে না এরকম কোনও খবর পাইনি। অ্যাডভাইজারি না মেনে চলার খবর পেলে কমিশন পদক্ষেপ নেবে। চেয়ারম্যানের কথায়, '  কমিশনের ক্ষতিপূরণ দেওয়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। আর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করার এক্তিয়ার রয়েছে।' প্রসঙ্গত, কোভিডের খরচ সংক্রান্ত দশটি মামলার শুনানি শেষে অন্তত তিনটি হাসপাতালকে রোগীর পরিজনের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। 

আরও দেখুন, কলকাতায় একদিনেই করোনা আক্রান্ত এগারো জনের মৃত্যু, বাড়ল সুস্থতার হারও, দেখুন ছবি

কমিশনের চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, গত শনিবার জারি করা দুটি অ্যাডভাইজারির বদল চেয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন। চলতি বছরের মার্চে শয্যা ভাড়া যা ছিল তার থেকে বেশি নেওয়া যাবে না বলে অ্যাডভাইজারি জারি করে জানিয়েছিল কমিশন। বেসরকারি হাসপাতালগুলির বক্তব্য, মার্চের বদলে তা এপ্রিল করা হোক। অপরদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের সভাপতি রূপক বড়ুয়া জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের পরে এই আর্জি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। 

আরও পড়ুন, নিম্নচাপ সরলেও আদ্রতায় হাঁসফাঁস অবস্থা, শহরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রসঙ্গত,  রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে যে অ্যাডভাইসারিগুলি দেওয়া হয়েছে একবার নেওয়া যাক।


১) ওষুধের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে।
২) ছাড় না দিলে রোগীর পরিবারকে বাইরে থেকে ওষুধ কেনার অনুমতি দিতে হবে
৩) তুলো ও সিরিঞ্জের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে।
৪) কোভিড সংকট শুরু হওয়ার আগে ১ মার্চ পর্যন্ত যে বেড ভাড়া ছিল, এখনও তাই নিতে হবে, বেড ভাড়া বাড়ানো চলবে না।  
৫) কোনও পরিস্থিতিতেই রোগীকে ফেরানো যাবে না। তিনি অগ্রিম টাকা না দিলেও ভর্তি করতে হবে। 
৬) কোভিড রোগীকে ভর্তির সময় অবশ্যই তাঁর আত্মীয় অথবা অভিভাবকের নাম, মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করতে হবে।
৭)  রোগীর কো-মর্বিডিটি থাকলে তাও লিখতে হবে। প্রত্যেক রোগীর জন্য থাকবে পেশেন্ট মনিটরিং স্কোর।
৮) রোগী কেমন আছেন, প্রত্যেক রোগীর পরিবার অনলাইনে তা জানতে পারবেন। হাসপাতাল তাঁদের সেই তথ্য জানিয়ে দেবে।

উল্লেখ্য, বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের সভাপতি রূপক বড়ুয়া জানিয়েছেন,  ওষুধে ১০ শতাংশ এবং মাস্ক, দস্তানার মতো সামগ্রীতে ২০ শতাংশ ছাড়েও রদবদলের আর্জি রয়েছে। 

 

   

 

কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা