সংক্ষিপ্ত
কার্ডিওলজির আইসিসিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল।
বঙ্গ রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন। একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। চলে গেলেন বঙ্গ রাজনীতির প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২২ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পঞ্চায়েতমন্ত্রীর (Panchayet Minister) শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএমে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কার্ডিওলজির (cardiology) আইসিসিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল।
ফিরহাদ হাকিম : মমতাদি আসতে আসতে পুরো ভেঙে পড়েছিলেন। উনি বলছিলেন আমি জীবনে অনেক ঝড়-ঝাপটা দেখেছি কিন্তু, এত বড় ক্ষতি কখনও হয়নি। সুব্রতদার মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। আজ একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল। স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। আজ সন্ধেয় বাথরুমে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন- 'সুব্রতদার মৃত্যু আমার কাছে সবথেকে বড় দুর্যোগ', ভেঙে পড়লেন মমতা
অরূপ বিশ্বাস : বাংলার রাজনীতিতে এটা একটা বড় ক্ষতি। ছাত্র আন্দোলন যখন করতাম তখনও ওঁর নেতৃত্বে কাজ করেছি। বাংলার রাজনীতিতে এক মহান নেতাকে আমরা হারালাম।
আরও পড়ুন- শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল, অথচ কালই শেষযাত্রা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের
পার্থ চট্টোপাধ্যায় : ওঁর সঙ্গে অনেক স্মৃতি রয়েছে। সেগুলি মনে করলেই কষ্ট বাড়ছে। আমি সবে কলেজে ভর্তি হয়েছি। সুব্রতদার একান্ত সচিব বাবলু মুখোপাধ্যায়ের ভাই অচিন্ত্য মুখোপাধ্যায় তিনিই একডালিয়াতে থাকতেন, সেই আমাকে প্রথম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যান। সালটা ৭১। সেই থেকেই সুব্রতদার সঙ্গে আমার আলাপ। রাজনৈতিক তত্ত্বকথায় নয়, ওঁকে দেখে ছাত্র পরিষদে নাম লিখিয়েছিলাম। আজ আমার প্রকৃত গুরু বিয়োগ হল।
আরও পড়ুন- একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান, প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়
দেবাশিস কুমার : কালীপুজো আলোর পুজো। আর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ মানে একটা বড় অন্ধকার। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তাঁর না থাকাটা একটা বড় ক্ষতি। এই আলোর দিনে এক বড় অন্ধকার নেমে এল।
সোহম চক্রবর্তী : মাননীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠন মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস এর বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি শোকাহত। এই ক্ষতি অপূরণীয়। তাঁর অবদান রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে চির স্মরণীয় থেকে যাবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
রাজ চক্রবর্তী : বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে মন খুবই ভারাক্রান্ত। তাঁর চলে যাওয়া একটা বড় ক্ষতি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
কুণাল ঘোষ : সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত। দীপাবলির রাতে হঠাৎ আঁধার। শুধু তৃণমূল পরিবারের ক্ষতি নয়, সার্বিক রাজনীতির নক্ষত্রপতন। দক্ষ মন্ত্রী, সফল মেয়র, ছাত্র যুব শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা, মোহনবাগানপ্রেমী, পুজোপাগল, রসিক, বর্ণময়, উদার, চিরসবুজ সুব্রতদাকে মিস করব।