সংক্ষিপ্ত
- থামছে না রাজ্য়-রাজ্য়পাল সংঘাত
- রেশন নিয়ে ফের টুইট রাজ্যপালের
- টুইটেও রয়েছে বিতর্কের খোঁচা
- করোনার মধ্য়েই মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাত
থামছে না সংঘাত। এবার রেশন নিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকারকে উদ্দেশ্য় কর টুইট করলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। টুইটে রাজ্য়পাল বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা প্রকল্পে এ রাজ্যেও সবাই নিখরচায় রেশন পাবেন, আমি নিশ্চিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার এব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। ইতিমধ্য়েই রাজ্য়পাবের এই টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক । অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, রাজ্য 'রেশন দুর্নীতি পর্ব' চলাকালীন রাজ্য় পালরে এই টুইট আসলে তৃণমূলের সরকারকে কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছেঁটা।
সংসদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কী বলেছিলেন, করোনা নিয়ে মহুয়াকে পাল্টা বিদ্বজ্জনদের.
রবিবার ফের টুইটে ভিডিয়ো বার্তা পড়ে রাজ্যপাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা প্রকল্পে এরাজ্যেও সবাই নিখরচায় রেশন পাবেন, আমি নিশ্চিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার এব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। রাজ্য়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, লকডাউনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রেশনে খাদ্য-সামগ্রী বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একাধিক এলাকায় রেশন দুর্নীতিতে অভিযোগ ওঠে খোদ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। যার জেরে খাদ্য় সচিব এমনকী বহু রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়।
আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যেও শুরু হতে পারে প্লাজমা থেরাপি , তৈরি রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ.
গতকালই রাজ্য়পাল-মুখ্য়মন্ত্রী সংঘাত চরমে ওঠে। রাজ্য়পালরে আগের চিঠির জবাব দেন মুখ্য়মন্ত্রী। চিঠি পেয়েই পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য়পাল। টুইটে জগদীপ ধনখড় লিখেছেন,বাস্তবের মাটিতে ও আইনগত ভাবে মুখ্য়মন্ত্রীর চিঠির কোনও সারবত্তা নেই। রাজ্য়ে এখন ছাদ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরকম একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আশা করি, উনি একসঙ্গে কাজ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে ধনখড় লিখেছেন, সংকটের এই মুহূর্তে আমি তাঁকে অনুরোধ করছি গুরুতর পরিস্থিতির দিকে মনোনিবেশ করুন। জনসাধারণের দুর্দশাগুলি দূর করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে হবে।
ধেয়ে আসছে তুমুল ঝড়-বজ্রবিদ্য়ুৎ সহ শিলাবৃষ্টি, অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করে সতর্ক করল মৌসম ভবন
এদিনই রাজ্য়পালের আগের চিঠির উত্তর দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। কড়া চিঠিতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন,ধনখড়ের চিঠি পড়ে রাগের থেকে বেশি দুঃখ পেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বলেছেন, যেভাষায় তাঁকে ও তার মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনকে আক্রমণ করা হয়েছে, তা অসাংবিধানিক। এমনকী তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারেন, ভূ-ভারতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও রাজ্য়পাল এ ধরনের বাক্যবন্ধে আক্রমণ করেননি। রাজ্যপালের কাছে এই ব্যবহার একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী আশা করেন না।
রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে,কদিন আগেই মুখ্য়মন্ত্রীকে লাগাতার প্রশ্ন করে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য়পাল। গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে এই চিঠি। এদিন যার জবাব দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। জবাবী চিঠিতে মমতা বলেছেন,রাজ্য়ে কোভিড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক ছাড়াও প্রশানিক কাজে জড়িয়ে থাকায় চিঠির উত্তর দিতে দেরি হয়েছে তাঁর।