সংক্ষিপ্ত
- ই-বর্জ্য বা বৈদ্যুতিন বর্জ্য সমস্যার সমাধানে এবার এগিয়ে এল কলকাতা পৌরসভা
- সেগুলি কেউ যদি সরাতে চান, তাহলে পুরসভার হেল্পলাইনে ফোন করতে পারেন
- টোল-ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০৩৪৫৩৩৭৫ তে নাগরিকেরা সমস্য়া জানাতে পারেন
- ২০২০ সালে কলকাতায় ই-বর্জ্যের সম্ভাব্য় পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮২৩ টন
সম্প্রতি, ই-বর্জ্য বা বৈদ্যুতিন বর্জ্য সমস্যার সমাধানে এবার এগিয়ে এল কলকাতা পৌরসভা। বাতিল ইউপিএস, কম্পিউটারের মনিটর,অন্যান্য় ই-বর্জ্য বা বৈদ্যুতিন বর্জ্য শহরে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেকের বাড়িতেও জমতে থাকে এমন বাতিল বৈদ্যুতিন সামগ্রী। কিন্তু কোথায় সেগুলি ফেলতে হবে, তা বুঝতে পারেন না শহরবাসীরা।
আরও পড়ুন, আম্রমুকুল আর পলাশ জানান দিচ্ছে বসন্তের, দোল উৎসবে মাতবে এবার শহর ও শান্তিনিকেতন
কলকাতা পৌরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে যে, শহরবাসীর কেউ যদি ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ডিভিডি-সহ অন্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী পড়ে রয়েছে এবং সেগুলি কেউ যদি সরাতে চান, তাহলে পুরসভার হেল্পলাইনে ফোন করতে পারেন। তাহলে পৌরসভার লোক গিয়ে ওই ই-বর্জ্য সংগ্রহ করবেন। পৌরসভা সূত্রের খবর, টোল-ফ্রি হেল্পলাইন নম্বরে ১৮০০৩৪৫৩৩৭৫ তে ফোন করে নাগরিকেরা ই-বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার কথা জানাতে পারেন। সোম থেকে শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই লাইন খোলা থাকছে। অবশ্য় ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। ই-বর্জ্য রাখার জন্য ধাপার গ্যারাজে একটি আলাদা ঘরও তৈরি করেছে পৌরসভা।
আরও পড়ুন, প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে, আজ বিকেলে ফের বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি
সূত্রের খবর, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, কলকাতায় ই-বর্জ্যের পরিমাণ নিয়ে অতীতে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। ২০১০ সালে শহর কলকাতায় ই-বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৯৯৯ টন। এর মধ্যে ৯ হাজার ২৯০ টন পুনর্ব্যবহারযোগ্য ছিল। কিন্তু বাস্তবে মাত্র ২ হাজার ২২ টন ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করা হয়েছিল। এদিকে সেই সমীক্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯- ২০২০ সালে কলকাতায় ই-বর্জ্যের পরিমাণ দাঁড়ানোর কথা ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮২৩ টন। পৌরসভা সূত্রের খবর, পরবর্তীকালে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অনুমোদিত সংস্থার মাধ্যমে ওই বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করা হচ্ছে। এক পুরকর্তা এবিষয়ে জানিয়েছেন, 'কলকাতা পৌরসভা প্রথম বার চালু করল এই পরিষেবা। ই-বর্জ্য সংগ্রহের জন্য এ রকম পরিষেবা অন্য পৌরসভা চালু করেছে বলে আমাদের জানা নেই।'
আরও পড়ুন, বিমানে উঠতেই বিপত্তি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস