সংক্ষিপ্ত
- শহরে ফের ঊষসী কাণ্ডের ছায়া
- এবার দিনের আলোয় হেনস্থার শিকার হলেন নামজাদা বক্সার
- অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকেও
বেপরোয়া বাইকবাজদের ধরতে নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সাফল্যও এসেছে হাতেনাতে। এক রাতের তল্লাশিতে ধরা পড়েছেন ২১৭৮ জন অপরাধী। গত ১৮ জুন মধ্যরাতে কলকাতায় একদল বাইকবাজের হাতেই তুমুল হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন ঊষসী সেনগুপ্ত। এমনকী তিনি প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সাহায্যও পাননি। এই খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কিন্তু তাতে কিছু সুরাহা হয়েছে কী? উত্তরে না-ই বলতে হয়। কেননা গত শুক্রবার দিনের আলোয় এই শহরেই নিগৃহের শিকার হলেন আন্তর্জাতিক বক্সার সুমন কুমারী।
আরও পড়ুনঃ অভিনেত্রীর পাশে না দাঁড়ানোর মাশুল, শাস্তির মুখে পুলিশের তিন বড়কর্তা
মধ্যরাতের বাইকবাজরা সাবধান, আদাজল খেয়ে নামল কলকাতা পুলিশ
কয়েক দিন আগেই তাইওয়ান পেশাদার বক্সিং চাম্পিয়নশিপ জিতে ফিরেছেন। রাজ্য কৃষি দফতরে চাকরি করেন তিনি। আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ানশিপ সেরেই তাঁকে ফিরতে হয়েছে দশটা পাঁচটার জীবনে। সুমন জানান, সকাল ১১ টা নাগাদ অফিস যাওয়ার সময়ে এক ব্যক্তি বাসে ওঠার সময়ে তাঁর স্কুটির সামনে চলে আসেন। সুমন কোনও মতে স্কুটির ব্রেক কষে লোকটিকে বাঁচিয়েও নেন। লোকটি তখন সুমনকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে বাসে ওঠেন। সুমন তখন স্কুটি নিয়েই বাসের পিছনে ধাওয়া করেন এবং বারবার কন্ডাক্টরকে বলতে থাকেন ওই ব্যক্তিকে বাস থেকে নামিয়ে দিতে। বাস ওই ব্যক্তিকে পরের স্টপেজে নামিয়ে দিলে, সুমনকে মারতে উদ্যত হন তিনি। ছুটতে থাকে গালিগালাজের ফোয়ারা। ওই ব্যক্তি সুমনের গলা টিপে ধরে বলেও অভিযোগ। সুমন নিজের ফেসবুক পোস্টে জানাচ্ছেন, এই অবস্থায় সামনে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও, কেউ সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসেননি।
যদিও এর পরেও আস্থা হারাতে রাজি নন সুমন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, 'আমার এখনও কলকাতা পুলিশের ওপর আস্থা আছে। আমি তাদের বিনীত অনুরোধ করিস আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতিতে নজর দিতে। একমাত্র তাহলেই এই শহর মহিলাদের জন্যে সুরক্ষিত থাকবে।'
প্রসঙ্গত সুমন এই পোস্টটি করার পরেই, কলকাতা পুলিশ তাঁর ফেসবুক পোস্টের তলায় জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে তারা। তাদের নাম যথাক্রমে রাহুল শর্মা, শেখ ফিরোজ, ওয়াসিম খান।