সংক্ষিপ্ত
- কলকাতা পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১২০০ ছাড়িয়েছে
- কলকাতা পুলিশের ৭ কর্মী ও আধিকারিকের করোনায় মৃত্যু হয়েছে
- শহরে করোনা সংক্রমণে ও লকডাউন নিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অভিযোগ
- কলকাতা পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে বিস্তারিত বললেন যুগ্ম কমিশনার
আক্রান্তের সংখ্য়া লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১২০০ ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশের ৭ কর্মী ও আধিকারিকের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় শুরু হয়েছে সাপ্তাহিক লকডাউন। এদিকে লাগাতার লকডাউনে কাজ হারিয়েছে রাজ্যবাসী। এমন পরিস্থতিতে অনেকেই লকডাউন লঙ্ঘন করছেন। অনেকেই গভীর হতাশায় ডুবে গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন ও করোনা বিধি লঙ্ঘনে শহরে অসংখ্য মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লকডাউন সফল করতে কতটা সক্রিয় কলকাতা পুলিশ, এবিষয়ে বিস্তারিত জানালেন যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার।
আরও পড়ুন, সপ্তাহ পেরোতেই করোনায় মৃত্যু কলকাতা পুলিশের আরও এক আধিকারিকের, শোকের ছায়া চিৎপুরে
যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানিয়েছেন,'কলকাতা পুলিশ লকডাউন সফল করতে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থাই নিয়েছে। সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে কলকাতা পুলিশ।' পাশাপাশি যেহেতু একের পর এক লকডাউনে মানুষ অনেক সময় অসহায় হয়ে রোজগারের জন্য বাধ্য হয়ে বাইরে বেরোচ্ছে। এদিকে লকডাউনে জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাইরে বেরনো নিষেধ। প্রয়োজনীয় সামগ্রীও এনে দিতে সাহায্য় করবে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে রোজগার না থাকলে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অর্থই বা মানুষ পাবে কোথায়। সেক্ষেত্রে লকডাউনে লঙ্ঘন করে ,সাধারণ মানুষ বাইরে বেরোলে পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ যুগ্ম কমিশনার। তিনি মূলত করোনা বিধি এবং লকডাউন বিধি সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করলে উপযুক্ত কারণেই কলকাতা পুলিশের যথাযথ ভূমিকার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন, বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৭০ হাজার, প্রাণ হারালেন ৪৫ জন
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শহরে মাস্ক বিতরণ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। তবে যত মানুষ স্বাভাবিক কাজ-কর্মের দিনগুলিতে বাইরে বেরিয়েছিল তারাই সেই দাতব্য মাস্ক পেয়েছেন। যারা বাইরে বেরোননি, তাঁদের কাছে যে স্য়ানিটাইযার বা মাস্ক আছে, এমন দাবি কখনই কেউ করেনি। উল্টে যাদের কাছে নেই এবং কেনার ক্ষমতাও হারিয়েছেন, সাপ্তাহিক লকডাউনে তাঁদের অনেকেই বিনা মাস্কে বাইরে বেরিয়ে ধরা পড়েছেন। শুধু জুলাইয়ে মাস্ক না-পরায় ১৪৩৯৪ জন এবং লকডাউন অমান্য করায় ১১৮৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১১১১ জনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে থুতু ফেলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৫৭৬টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। লকডাউন বিধি অমান্য করায় মামলা রুজু হয়েছে ২৪৫৩টি। যদিও অনেক জায়গাতেই পুলিশের মানবিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, আমর্হাস্ট স্ট্রিট, বেকবাগান, বেহালার পরেও শহরে একাধিক জায়গায় করোনায় মৃতদেহ বাড়িতে দীর্ঘ সময় পরে থাকার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এবিষয়ে যুগ্ম কমিশনার শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ফোন নাম্বারের কথা। যেখানে করোনা আক্রান্তের জন্য সাহায্য়ও চাওয়া যাবে এবং পাশাপাশি সরাসরি অভিযোগও জানানো সম্ভব হবে। কলকাতা পুলিশের করোনা হেল্পলাইন নম্বর গুলি হল- ৯৮৭৪৯০৩৪৬৫ এবং ৯৪৩২৬১০৪৪৬ এবং প্রয়োজনে ১০০ নম্বরে আগের মতোই যোগাযোগ করা যাবে।
করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা
পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে
মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস
কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের