সংক্ষিপ্ত
আনিস খান মৃত্যু রহস্য থেকে হাঁসখালি কাণ্ড একাধিক ঘটনা নিয়ে কবিতার সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এবার একদিন পরেই গানের সুরে রুদ্রকে কড়া জবাব তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের।
গানের লড়াই না কি কবিতার লড়াই? সে যাই হোক কটাক্ষের ছন্দে মেতেছেন শাসক দল ও বিরোধী দলের নেতা নেতৃত্বরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ভিডিওতে পরস্পর পরস্পরকে নিশানা করতে ছাড়ছেন না কেউ। ঘরনার সূত্রপাত হয়েছিল রুদ্রনীল ঘোষের 'অনুমাধব ভালো থেকো' কবিতা দিয়ে। এরপর কখন ও তৃণমূল নেতা দেবাংশু ঘোষ তো কখন ও মদন মিত্র কবিতার সুরে রুদ্রনীলকে জবাব দিতে ছাড়েন নি তারা। এরপর ও শেষ হয় নি কবিতার লড়াই। মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন রুদ্রনীল, যেখানে কবিতার সুরে নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। এবার এক দিন যেতে না যেতেই রুদ্রনীলকে জবাব দিতে ময়দানে ফের হাজির হয়েছেন মদন মিত্র। তবে কবিতা নয় বরং গানের সুরে রুদ্রনীল ঘোষের কড়া সমালোচনা করেছেন কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক।
কী বলেছেন মদন মিত্র?
এদিন ফেসবুক লাইভে এসে নববর্ষের উপহার দিয়েছেন মদন মিত্র। লাইভে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে 'বাঙালি নতুন বছরে মিষ্টি খাবে হইহুল্লোড় করবে, তার সঙ্গে আমিও দুই লাইন বেঁধে দিই!' এরপর ওয়ান টু থ্রি বলেই সোজা গানে প্রবেশ করেন তিনি, যেখানে তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, 'পলিটিক্সের পোশাক পরে যখন খুশি খোলো, বামপন্থার নাম করে তো অনেক কিছু তোলো।' এরপর তিনি বলেন, 'একটা সময় তেল দিয়েছ, গ্যাস দিয়েছ তুমি, লক্ষ টাকার চাকরি পেয়ে , চরণ দিতে চুমি। দু নৌকোয় পা রেখেছো, দুটোই যাবে ডুবে । সূর্য তখন পশ্চিমে নয়, অস্ত যাবে পুবে। এখানেই শেষ নয় তিনি আরও বলছেন 'ফেস বুকেতে ফেস দেখিয়ে, কামাচ্ছ তো বেশ। ফেস বুকেতে ফেস দেখিয়ে, কামাচ্ছ তো বেশ, যা তা বলেও পার পেয়ে যাও, জানো কেউ দেবে না কেস। গিরগিটিকেও হার মানাবে, রংবদলের মাস্টার। আগে থেকেই করিয়ে রাখো, হাতে পায়ে প্লাস্টার।
কী বলেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ?
মঙ্গলবারই ফেসবুক লাইভে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। আনিস খান মৃত্যু, ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর মৃত্যু, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি একাধিক বিষয় নিয়ে মমতা সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এদিন লাইভ এসে তিনি বলেছিলেন, 'তিনি মানে সব ঠিক, তিনি মানে ভাল, তিনি যদি বলে দেন সাদা হয় কালো। তিনি যদি বলে দেন ছোট ঘটনা, মেনে নাও ভুলে যাও সব রটনা।' এরপর তিনি আরও বলেছিলেন, 'মরে যাক আনিসেরা, হোক হাঁসখালি। পুড়ে যাক বগটুই হোক কল খালি। মা বোনেরা নেই বুঝি তোমার ঘরে? পায়না ৫০০ ভাতা মাসকাবারে?' যদিও লাইভে স্পষ্টত কারও নাম উল্লেখ করেন নি রুদ্রনীল তবে মন্তব্যের সুর আদতে কার দিকে তা বুঝতে অসুবিধা হয় নি কারোরই।
আরও পড়ুন- 'বাংলাকে রেপ হেভেনে পরিণত করেছে তৃণমূল', আইনজীবীদের হাতহাতি নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
আরও পড়ুন- ধৃত সত্যবানের হোটেল থেকেই কি তপন কান্দু খুনের ষড়যন্ত্র ? বিস্ফোরক তথ্যের তদন্তে সিবিআই
সোমবার ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তাল গোটা রাজ্য রাজনীতি তার মাঝে সোমবার বিশ্ববাংলা প্রাঙ্গণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই ঘটনা আদৌ কতটা সত্যি সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এদিন হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লাভ অ্যাফেয়ার বলবেন, না কি শরীরটা খারাপ ছিল... না কি কেউ ধরে মেরেছে? আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী? ঘটনাটা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, শুনেছি মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল। পরিবারের লোক তা জানত।'