সংক্ষিপ্ত

  • কেন্দ্রের পাঠানো পিপিই র রং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা
  •  রাজ্য়কে পাঠানো পোশাকের রং হলুদ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন
  •  কেন্দ্রের হলুদ পিপিই-তে 'গেরুয়াকরণ' দেখছেন মুখ্য়মন্ত্রী
  •  

এতদিন করোনা রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার কেন্দ্রের পাঠানো পিপিই (স্বাস্থ্য়কর্মীদের পোশাক)-এর রং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা। রাজ্য়কে পাঠানো পোশাকের রং হলুদ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সরাসরি কিছু না বললেও ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, কেন্দ্রের হলুদ পিপিই-তে 'গেরুয়াকরণ' দেখছেন মুখ্য়মন্ত্রী। 

রাজ্য়ে মৃত্যু থেমে তিনে,করোনায় আক্রান্ত ৬১.

এদিন নবান্নে সাংবাদিক  সম্মেলেন মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, রাজ্য়ের করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় কিছুই সাহায্য় করছে না। বার বার পিপিই-র কথা বলার পর রবিবার তিন হাজার পিপিই পেয়েছে রাজ্য় সরকার। সেখানে কেবল রাজ্য় সরকারই ২,০৭,১০০ টি পিপিই এখনও পর্যন্ত রিসিভ করতে পেরেছে। অর্ডার দেওয়া আরও  ৯ লক্ষ পাবে রাজ্য়। প্রতিদিন ১৫ হাজার  করে পিপিই পাচ্ছেন তারা। কিন্তু লকডাউনের কারণে ডাক্তার, স্বাস্থ্য়কর্মীদের কাছে সেই পোশাক পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। যদিও কোভিড১৯ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই সাহায্য়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী।

চিড়িয়াখানায় বাঘের শরীরে করোনা, নবান্নে বার্তা পাঠাল কেন্দ্র.

পাশাপাশি কেন্দ্রের দেওয়া পিপিই-র মধ্য়েও রাজনীতির রং দেখতে পেয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন পিপিই নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি শুনেছি, কেন্দ্র যে পিপিইগুলো পাঠিয়েছে সেগুলো নাকি রং করে পাঠানো হয়েছে। রংটা নাকি হলুদ। কারও কারও বৃহস্পতি তুঙ্গে কিনা। হলুদ রংটা কীসের সঙ্গে মিল খাচ্ছে তা আমি জানি না। তা কোভিড ১৯ -এর সঙ্গে ম্য়াচ করছে কিনা আমার জানা নেই।'

এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা মূলত এই ধরনের যে পোশাক পরেন,তার রং সাদা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ছাই রঙের বিশেষ পোশাকও পরে থাকেন তাঁরা। সাধারণভাবে কেউ কেউ অবশ্য় নীল বা আকাশি রঙের ড্রেস ব্য়বহার করে থাকেন। কোনও কোনও হাসপাতালে গোলাপি রঙেরও হাউজ কোট ব্যবহার করেন ডাক্তাররা। সচরাচর এটাই আমাদের চোখে পড়ে।  

রাজ্য়ে করোনায় মৃত কারা, ৩৪টি পরীক্ষার ফল দেখে সিদ্ধান্ত..

সম্প্রতি পিপিই-র নামে রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে রেনকোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন স্বাস্থ্য়কর্মীরা। যা নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে 'কাঠগড়ায়' তুলেছিলেন বিরোধীরা। যা নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমেরিকায় রেনকোটের মতো পিপিই ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রথমে ওই ধরনের দু একটা বেরিয়ে গিয়েছিল বলে অনেক রকম কথা হয়েছে। আপাতত ওই ধরনের পিপিই স্বাস্থ্য় কর্মীদের দেওয়া হবে না। রাজ্য়ের কাছে ৩০ হাজের মতো ওই ধরনের পোশাক রয়েছে। কিন্তু খুব ইমারজেন্সি না হলে ওই পোশাক দেওয়া হবে না স্বাস্থ্য়কর্মীদের। 

রাজ্য়ের সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, করোনার আপডেট দিতে রোজ বিকেলে মেডিক্যাল বুলেটিনের ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু বিগত দিনে নবান্নের সঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে। রাজ্য়ে করোনায়  কতজন মারা যাচ্ছেন তা জানতে সরকারি নথিতেই ভরসা রাখতে বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। যা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হন  মুখ্য়মন্ত্রী। এ নিয়ে সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, রোগ লুকিয়ে রাখলে বিপদ বাড়ে। মমতাকে এ বিষয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রী মৃতের সংখ্য়া নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

রবিবার নবান্নে মেডিক্যাল বুলেটিন বন্ধ থাকলে জোর পায়  বিরোধীদের দাবি। অনেকেই বলতে শুরু করেন, মৃতের সংখ্য়া লুকোতেই রবিবার নবান্নে বুলেটিন বন্ধ করা হয়েছে। যদিও এদিন মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দেন,রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় কাজ হচ্ছে। রবিবার ছুটির দিন বলে নবান্নে ব্রিপিং বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে অনেক দলের আইটি সেল রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।  নাম না করে রাজনৈতিক দলগুলিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করার সময় এটা নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আইটি সেল ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে।