সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, 'এই প্রথম এমন ঘটনা দেখলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন আর বাংলা বাদ!' তিনি আরও বলেন তিনি সংবাদমাধ্যমে দেখেছিলেন হাসিনা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথ কর্মীদের সভায় দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এদিন মিডিয়াকে নিশানা করেন মমতা। এই রাজ্যে অধিকাংশ মিডিয়া কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত, তাই সেই কারণে মিডিয়াগুলি একের পর এক তৃণমূলকে টার্গেট করেছে। মমতার কথায় আগে যারা সিপিএম করত এখন তারাই বিজেপি করে। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর পায়ের চোটের জন্যও এরা দায়ী। এদিনও তিনি সিপিএম, বিজেপি আর কংগ্রেসকে একসঙ্গে নিশানা করে বলেন, 'জগাই, মাধাই, গদাই এবার হবে বাইবাই।' কেন্দ্রীয় সংস্থাকও পরোক্ষে নিশানা করেন মমতা এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি এখনও জোর করে বলতে পারি তৃণমূলের ৯৯.৯৯ শতাংশ সৎ, স্বচ্ছা। তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চায়।' তিনি আরও বলেন, সিপিএম-এর আমলে কাগজপত্রে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা সব কাগজপত্র উড়িয়ে দিয়ে চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন মমতা।
এদিন মমতা প্রথমে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে সরব হন। তাঁর অভিযোগ 'অনুব্রত মণ্ডলকে এই প্রথম নয়, এর আগেও আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রত্যেকটি নির্বাচনের আগে অনুব্রতকে আটকে রাখার জন্য নজরবন্দি করে রাখে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কিছুতেই বিজেপি কিছু করতে পারেনি।' তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে অভাবে আটকে রাখা যাবে না। মমতা বীরভূমের দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'বীরভূমের দলীয় নেতা যারা আছেন তাঁরা উঠে দাঁড়ান। আপনারা লড়াই করেবন। বীরভূম কখনই হারে না। বীরভূম হারতে পারে না। আপনারাই অনুব্রতকে সম্মানে জেল থেকে বার করে আনবেন।' মমতা বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে আটকে রাখলেও বীরভূমের দলীয় নেতা কর্মীরা লড়াই করবে। দলীয় কর্মীরাই বীরভূমে জয়ের পথ দেখাবে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, 'এই প্রথম এমন ঘটনা দেখলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন আর বাংলা বাদ!' তিনি আরও বলেন তিনি সংবাদমাধ্যমে দেখেছিলেন হাসিনা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্মান নেওয়ার জন্য তাঁকে বিদেশে যেতে দেওয়া হয় না।
তিনি আরও বলেন মিডিয়া আর বিজেপির আইটি সেল তৃণমূল নেতা কর্মীদের ইচ্ছেকৃতভাবে টার্গেট করেছে। বিজেপি আর কেন্দ্রীয় সংস্থা বিশেষভাবে নিশানা করেছে তৃণমূলকে। এদিন মোদীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করে মমতা 'মন কা ব্যাথা' বলেন। তিনি বলেন বিজেপি ও মোদী সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থা বিক্রি করে দিয়েছে। দেশকে বিক্রি করার চেষ্টা করছে। এদিন মমতা জানিয়েছেন ভোটার লিস্ট তৈরি হচ্ছে। আর এই লিস্ট ঠিকভাবে করতে হবে। দলীয় কর্মীদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারেন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের পর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবার দলীয় নেতা কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকেতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'বিধায়ক ও দলীয় নেতাদের বলছে চাকরি আর্জি জানিয়ে বিধায় বা সাংসদপদের লেটারহে়ডে কেউ চিঠি লিখবেন না। যা প্রয়োজন মুখে বলবেন, খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ হোয়াটঅ্যাপ করবে না। ফোনে কথা বলবেন না।' দলীয় নেতা কর্মীদের সর্বদা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন মমতা।
আরও পড়ুনঃ
'যেমন করে পারেন আনন্দ করুন, আজ থেকে শুরু দুর্গা পুজো', UNESCOর প্রতিনিধিদের সামনে বললেন মমতা
'ভগবানও ১০০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না', শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বিরোধীদের তোপ মমতার
"বাবার চিতাভষ্ম এখনও কেন টোকিওতে পড়ে থাকবে ?"- প্রশ্ন সুভাষকন্যার