সংক্ষিপ্ত
- করোনা আক্রান্ত হয়ে টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকে সুস্থ হয়েই ফিরলেন এক ব্যক্তি
- চিকিৎসকদের দাবি, এটা মিরাকেল, সম্ভবত সারা বিশ্বে অন্যতম একটি রেকর্ড এটি
- ২৯ মার্চ প্রচণ্ড জ্বর ও তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হন ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে
- টালিগঞ্জের বাসিন্দা নিতাইদাস মুখোপাধ্যায় কলকাতার পরিচিত এক জন সমাজসেবী
করোনা আক্রান্ত হয়ে টানা ৩৮ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েই ফিরে গেলেন টালিগঞ্জের এক প্রৌঢ়। চিকিৎসকদের দাবি, ভারতে কোনও কোভিড-১৯ রোগীর ক্ষেত্রে এ রকম আর উদাহরণ নেই। চিকিৎসকদের অনুমান, সারা বিশ্বে এটি একটি অন্যতম রেকর্ড ।
টালিগঞ্জের বাসিন্দা বছর বাহান্নর নিতাইদাস মুখোপাধ্যায় কলকাতার পরিচিত এক জন সমাজসেবী। গত ২৯ মার্চ প্রচণ্ড জ্বর এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হন ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে। পর দিনই তাঁর লালারসের নমুনা পজিটিভ পাওয়া যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তীব্র শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাঁকে ৩০ মার্চই ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। এর মাঝে ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল পর পর দুই দিন ওই রোগীর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরপর দুবারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু করোনামুক্ত হওয়ার পরেও ওই রোগীর তীব্র শ্বাসকষ্ট থেকে যায়। যার দরুন ভেন্টিলেটর থেকে তাঁকে বার করা সম্ভব হয় না। তাঁর কৃত্তিম শ্বাস প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে হয় চিকিৎসকদের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২ মে পর্যন্ত পুরোপুরি তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তারপর থেকে নিতাইদাস মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে দিনে ১২ ঘণ্টা করে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। এর পরে ৫ মে তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে এইচডিইউ অর্থাৎ হাই ডেফিনেশন ইউনিট-এ স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। টানা ৩৮ দিন কোনও কোভিড পজিটিভ রোগী ভেন্টিলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, এমন উদাহরণ মিরাকল আগে ঘটেনি বলে দাবি চিকিৎসকদের।
'যোদ্ধারা সমরে-করোনা দূরে', ফের সচেতনতামূলক পথচিত্র আঁকল বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী
বেহালা হাসপাতালের প্রসুতির শরীরে মিলল এবার করোনার জীবাণু, কেপিসি-র ৩ রোগীর রিপোর্টও পজিটিভ
রোগী ফেলে পালাতে পারল না অ্যাম্বুল্যান্স, পিপিই পরা স্বাস্থ্য়কর্মীদেরকে তীব্র প্রতিবাদ নাকতলাবাসীর