সংক্ষিপ্ত
- সপ্তাহ দেড়েক কেটে গেলেও ছাড়ছিল না জ্বর
- হাজার ডাক্তার দেখিয়েও উপশম হয়নি রোগের
- বাধ্য় হয়ে পুণে থেকে বর্ধমানে ফেরেন রাজমিস্ত্রি
- খবর জানাজানি হতেই আইসোলেশনে রাখল হাসপাতাল
সপ্তাহ দেড়েক কেটে গেলেও ছাড়ছিল না জ্বর। হাজার ডাক্তার দেখিয়েও উপশম হয়নি রোগের। বাধ্য় হয়ে পুণে থেকে বর্ধমানে ফেরেন পেশায় রাজমিস্ত্রি আনন্দ। খবর জানাজানি হতেই তাঁকে আইসোলেশনে হাসপাতালে রাখা হয়।
করোনার চিকিৎসা এড়িয়ে পালালে গ্রেফতার, রাজ্য়ে জারি মহামারী আইন
জানা গিয়েছে, আউসগ্রামের উত্তর রামনগর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি আনন্দ মন্ডল(৫০)। মহারাষ্ট্রের পুনেতে থাকতেন। প্রায় ১২ দিন ধরে তিনি জ্বর, বমি পায়খানা এবং মাথার যন্ত্রণার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ। সেই অবস্থায় ফিরিছেন এ রাজ্যে। পুনেতে এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। সেখান থেকে আজ বাড়ি ফেরেন।
সোমবার উত্তর রামনগর গ্রামের এই বাসিন্দা আউশগ্রামে ফিরতেই করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
করোনায় আক্রান্ত গ্রাহক, আতঙ্কে বিছানা বয়কটে নিষিদ্ধপল্লীর মেয়েরা
এদিন বাড়ি পৌঁছতেই বাড়ির সামনে থেকেই পরিবার হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তিনি নিজেই আউশগ্রামের বননবগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি হতে আসেন। যদিও তাকে সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সেই সময় হাসপাতালে আ্যম্বুলেন্স না থাকায় আনন্দবাবু একাই হাসপাতালের বাইরেই বসে থাকেন। পরে গুসকরা থেকে আ্যম্বুলেন্স গিয়ে তাকে বর্ধমানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় বর্ধমান হাসপাতাল ।
দলে এলেও পদ্ম কাঁটা, শোভনকে মেয়র প্রোজেক্ট করবে না তৃণমূল
ওই রোগীকে বর্ধমানে নিয়ে আসা হয়েছে।আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানা গেছে। আউশগ্রাম ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মন্ডল বলেন, ”ওই রোগীর ভাইরাসজনিত সমস্যা। তবে সেটা করোনা এখন বলা যাবে না। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। রোগীর রক্ত ও কফের নমুনা নেওয়া হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
মেডিকেল রির্পোট না আসা পর্যন্ত তাকে আইসোলেশনেই রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।