সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ,এ দিকে দুর্গাপুজো আসতে দেরি নেই
- তাই এবার করোনা রুখতে ঢেলে খরচ করছে পুজো কমিটিগুলি
- বাজেটের প্রায় ৩৫ শতাংশ খরচ হবে করোনা আবহে উমা দর্শনে
- কোভিড গাইড লাইন প্রকাশ করেছে 'ফোরাম ফর দুর্গোৎসব'
রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এ দিকে দুর্গাপুজো আসতে ১০০ দিনও বাকি নেই। তাই এবার করোনা রুখতে ঢেলে খরচ করছে এবার শহরের তাবড় তাবড় দুর্গো-উৎসব কমিটি। বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলোর অধিকাংশই তাদের বাজেট গত বছরের তুলনায় অর্ধেক করে ফেলেছে। এদিকে সেই বাজেটের প্রায় ৩৫ শতাংশ খরচ হবে করোনা আবহে উমা দর্শনে । অবশ্য এর মধ্য়েই 'ফোরাম ফর দুর্গোৎসব'-এর কার্যকারি কমিটি তাঁদের কোভিড গাইড লাইন প্রকাশ করেছে শহর ও শহরতলির পুজো কমিটি গুলির জন্য।
আরও পড়ুন, 'মান পাচ্ছে না' অর্থনীতির যোদ্ধারা, এসবিআই সমৃদ্ধি ভবনে করোনা আক্রান্ত ৩৯
চোরবাগান সর্বজনীন পুজো কমিটির মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কোনও রকম ঝুঁকি না-নিয়ে মণ্ডপশিল্পীদের আলাদা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। যাতে দৈনন্দিন প্রয়োজনেও ওই শিল্পীদের সামাজিক মেলামেশা করতে না-হয়। কাজ শুরুর আগে মণ্ডপশিল্পীদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। মোট ৪০ জন শিল্পী কাজ করছেন। ওঁদের থাকার জন্য কয়েকটি ফ্ল্যাটবাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাজ শেষ হলে আবার ওঁদের করোনা পরীক্ষা করানো হবে। মণ্ডপে ঢোকার মুখে স্যানিটাইজার-গেট করাও হচ্ছে। পুজোর দিনগুলোয় দর্শকদের জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি করা হবে। চোরবাগান সর্বজনীন পুজো কমিটির দাবি, এ বার পুজোর বাজেটের প্রায় অর্ধেকটাই খরচ হবে এই সমস্ত খাতে। মুদিয়ালি ক্লাবের পুজো যেখানে হয়, সেই চত্বরে বেশ কয়েক জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন ক্লাব সদ্যসরা। তাঁরাও পুজোর বাজেটের একটা বড় অংশ খরচ করছেন মণ্ডপ চত্বরে করোনাভাইরাসের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। এক ক্লাব সদস্য জানিয়েছেন, স্যানিটাইজার গেট, মাস্ক, গ্লাভস এর সঙ্গে পুজোর কয়েক দিন করোনা সচেতনতার প্রচার চালানো হবে বিভিন্ন ভাবে। সেই খরচটা মুদিয়ালি ক্লাবের পুজোর বাজেট থেকেই করা হবে।
আরও পড়ুন, 'কলকাতার জয়', চাপের মুখে পড়ে বিদ্যুতের বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল সিইএসসি-র
নবান্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সবাইকে আগামী কয়েকদিন সচেতন থাকতে হবে। সামনেই পুজো আসছে। ভাল করে করতে হবে তো। সংক্রমণ কমাতে এখন থেকেই ক্লাবগুলি নিজের নিজের এলাকায় ভূমিকা নিক।' আর এই কথাতেই আরও মনবল পেয়েছেন শহরের পুজো-প্রেমীরা। আর এই করোনা পরিস্থিতিতে, কীভাবে পুজো হবে সেটা ঠিক করতে দুর্গাপুজোর সংগঠকদের সংগঠন 'ফোরাম ফর দুর্গোৎসব'-এর কার্যকারি কমিটি বৈঠকে বসে। আপাতত সেই নিয়ম মেনেই মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু করবেন উদ্যোক্তারা। তাঁর মধ্যে অন্যতমগুলি হল সর্বোচ্চ ২৫ জন মণ্ডপে ঢুকতে পারবে, তবে মণ্ডপের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শনের সুযোগ থাকলে ভাল। মণ্ডপের বাইরে স্টলগুলির মধ্যে ৩ থেকে ৪ ফুট ব্যবধান রাখতে হবে, বসে খাওয়া চলবে না।পুজোর সময় প্রত্যেকদিন মণ্ডপ ও প্রতিমা স্যানিটাইজ করতে হবে।
করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা
পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে
মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস
কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের