সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার ঘিরে গোলমাল
- নিমতলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন এলাকার বিপরীতে সব দোকানই বন্ধ
- দাহকার্য শেষ হলে রাত সাড়ে ৩টে পর্যন্ত জীবাণুমুক্তের কাজ চলে
- বৈদ্যুতিক চুল্লির পাশাপাশি শ্মশানের পুরো ভবনটি জীবাণুমুক্ত করা হয়
রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার ঘিরে গোলমালের পরে নিমতলা শ্মশানঘাটে বড়সড় পরিবর্তন। এদিকে সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। আর প্রথম করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারের কাজ নিয়ে ভিড়ে ঠাসা নিমতলা শ্মশানঘাটের বরাবরের সেই ছবিটা সোমবার রাতের পর থেকেই বদলে গেল।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় ৫০ লক্ষ খরচের প্রস্তাব, একাই জেলাশাসকের দপ্তরে হাজির বিজেপি সাংসদ
সোমবার রাত থেকে নিমতলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন এলাকা রীতিমতো থমথমে। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। শ্মশানের বিপরীতে থাকা সব দোকান বন্ধ। করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার করতে গেলে প্রথমে প্রবল বাধার সামনে পড়তে হয় পুলিশকে। পরে পুলিশি প্রহরায় রাত পৌনে ১২টা নাগাদ পুরনো শ্মশানের ভিআইপি চুল্লিতে ওই ব্যক্তির দেহ ঢোকানো হয়। পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দাহকার্য শেষ হলে রাত ১টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে ওই বৈদ্যুতিক চুল্লির পাশাপাশি পুরো ভবনটি জীবাণুমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন, করোনার আশঙ্কায় আগাম বন্দোবস্ত, বিয়েবাড়ি,স্টেডিয়াম নেওয়ার নির্দেশ মমতার
জানা গিয়েছে, সোমবারের গোলমালে যুক্ত থাকার অভিযোগে, পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সকলেই নিমতলা ঘাট স্ট্রিট বস্তির বাসিন্দা। যদিও বস্তির এক যুবকের দাবি, করোনাভাইরাসে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির দেহ আনা হচ্ছে শুনে বাইরে থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জনের দল আসে। এরপর তারা গোলমাল করে পালিয়ে যায়। তবে এই মুহূর্তে ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, বৈঠক থেকে বেরিয়েই শহরের হাসপাতালগুলোতে মমতা, পৌঁচ্ছলেন আরজিকর-মেডিকেল-এনআরএস-এ