সংক্ষিপ্ত
অফলাইনেই হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব স্টাডিসের থেকে এই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অফলাইনেই হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব স্টাডিসের থেকে এই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ মে কলেজগুলির প্রিন্সিপালের সঙ্গে বৈঠক হবে। তাঁদের কাছ থেকে মতামত জানতে চাওয়া হবে এই বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হবে। তারপর ৩ জুন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিন্ডিকেট। উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চলছে। কিছুদিন আগেই রবীন্দ্রভারতী, যাদবপুর এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। অধ্যাপকদের ঘেরাও করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ক্যাম্পাসে পুলিশ পর্যন্ত ঢুকেছে।এহেন পরিস্থিতিতে অফলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্তেই অনঢ় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও পরীক্ষা অফলাইনেই হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারিয়েও অফলাইনে পরীক্ষা হয়েছে। বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষাও হচ্ছে অফলাইনে। কলা বিভাগেও অফলাইনে চলছে। কর্মসমিতির বৈঠকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের নির্দেশ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, আগেই আমাদের এগজাম বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পরীক্ষা হবে অফলাইনে। একজিউকিউটিভ কাউন্সিলও সর্বসম্মতভাবে এগজাম বোর্ডের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। তাই পরীক্ষা অফলাইনেই হচ্ছে।' প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়। যেখানে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয় যে, পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে, সংশ্লিষ্ট বিশ্লবিদ্যালয়ের উপর ছাড়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধা মেনে এই সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। কারণ একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন চলছিল। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই তারপর পরীক্ষার নিয়ম বিধি স্পষ্ট করে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, সাড়ে ৯ ঘন্টা জেরার পর আজ ফের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে তলব, কোনপথে সিবিআই
যদিও এই পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে মাঝে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদবপুরে অনলাইনে পরীক্ষা হলে সরে দাঁডা়বেন সব অধ্যাপক। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেয় সম্প্রতি জুটার। দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় প্রায় ৫০ ঘন্টা। এদিকে তারপরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দাবিতে অনঢ় থেকে আটকে থাকেন সহ উপাচার্য- সহ অধিকাংশ অধ্যাপক। কিন্তু কথা হচ্ছে রাজ্যের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার পরও কী কারণে অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চাইছে ছাত্র-ছাত্রীদের দল। কারণ কম্পালসারি ট্রেনিং এর জন্য অনেক পড়ুয়াই মেস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছিল, তাঁদের পক্ষে হোস্টেল না পেলে এখন অফলাইন পরীক্ষা দেওয়াটা সম্ভব নয়। অভিযোগ এই বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেও কোনও সমাধান মেলেনি। যদিও নিজের দাবিতে অনঢ় থেকে জুটা জানিয়েছিল, যাদবপুরে অনলাইনে পরীক্ষা হলে সরে দাঁডা়বেন সব অধ্যাপক। তবে সরে দাঁড়াতে আর শেষ অবধি হয়নি, অফলাইন পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হচ্ছে যাদবপুরে।
আরও পড়ুন, আজও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বর্ষণ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, কী খবর উত্তরবঙ্গের