সংক্ষিপ্ত
বুধবার তৃতীয় বারের জন্য ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দেন পার্থ-অর্পিতা। সওয়াল জবাবের সময়ে বিচারকের সামনে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। এদিন আদালতে সওয়াল জবাবের সময় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য দেন পার্থ।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলের হাওয়া খাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলে রয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। বুধবার ভরা আদালতে দেখা গেল অন্য ছবি। লোক ভর্তি আদালতে এই প্রথম চোখে জল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শুনানির সময়ে কার্যত কেঁদে ফেললেন তিনি।
বুধবার তৃতীয় বারের জন্য ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দেন পার্থ-অর্পিতা। সওয়াল জবাবের সময়ে বিচারকের সামনে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় প্রাক্তন মন্ত্রীকে। এদিন আদালতে সওয়াল জবাবের সময় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য দেন পার্থ। ভার্চুয়াল সওয়াল জবাবে বলেন “আমার বাড়িতে ৩০ ঘণ্টারও বেশি ছিল ইডি। কিছু পায়নি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি।” কাঁদো কাঁদো গলায় তিনি বলেন, ” আমিও আইনজীবী। এলএলবি ডিগ্রি আছে।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন চাইছেন কীনা, সে ব্যাপারে তাঁকেই সরাসরি প্রশ্ন করেন বিচারক। এরপরেই পার্থ বলেন “স্যর দয়া করুন। স্যর দয়া করে আমাকে শান্তিতে বাঁচতে দিন।” ঠিক এই সময়েই কথাটা বলার সময়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থ আদালতে এদিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য দিতে থাকেন। সওয়াল করেন, “আমি ইকোনমিক্সে অনার্স। পিএইচডি। স্কলারশিপ পেয়েছিলাম। দীর্ঘদিন মন্ত্রী ছিলাম। তার আগে বিরোধী দলনেতা ছিলাম। কেউ আমার সম্পর্কে এরকম অভিযোগ করেনি।”
বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসন থাকবে ফাঁকা, ব্লকে একাই বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
এদিকে, মঙ্গলবার ফের সিবিআই-এর আতশকাচের তলায় পার্থ-ঘনিষ্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর থেকেই বেনামি সম্পত্তির খোঁজে চিরুনিতল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। প্রসঙ্গত বারবারই উঠে এসেছে অধ্যাপক মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নাম। এবার ফের মানস দাসের নামে হদিস মিলল একাধিক জমির।
শনিবার রানাঘাটের ২ নম্বর ব্লকের ভূমিরাজস্ব দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। বৈদ্যপুর-১, বৈদ্যপুর-২, আনুলিয়া, পায়রাডাঙা ও শ্যামনগর, এই পাঁচ জায়গায় মানস দাসের নামে একাধিক জমির খোঁজ মিলেছে। ভুমিরাজস্ব আধিকারিক জয়তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,‘‘সিবিআই বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’
'বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হোক সরকারি সম্পত্তি নষ্টকারীদের সম্পত্তি', মহুয়ার টুইট বনাম বিজেপি-র পাল্টা
এর আগে রবিবার পার্থ অনুব্রত নাম করেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার চা বাগানের কর্মীসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অভিষেক স্পষ্ট বলেন,"নিশ্চিতভাবে দু’একজন, তিনজন, চারজনের চলার পথে ভুল থাকতে পারে। কিন্তু দল এতবড় একটা সংগঠন। কিছু ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। ভুলের পর দল তা সংশোধন করছে কিনা, তা দেখতে হবে।আমি যখন ১২ জুলাই এসেছিলাম, তখন তো পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি, সিবিআই গ্রেফতার করেনি। তা-ও আমি তখন নতুন তৃণমূলের কথা বলেছিলাম।"