সংক্ষিপ্ত

  •  করোনার সংক্রমণ রুখতে সতর্ক পুলিশ 
  • মাস্ক-স্যানিটাইজারের নিয়ম মেনে ব্য়বহার 
  • নিউ আলিপুর থানার পুলিশও যথেষ্ট সতর্ক 
  • কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পুলিশ-প্রশাসন 

করোনার আতঙ্কে এই মুহূর্তে 'মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজেসন'  নিয়ে রীতিমত সতর্কতামূলক অভিযান চলছে  কলকাতার একাধিক থানায়।  কলকাতার নিউ আলিপুর থানার প্রত্য়েক পুলিশ কর্মীকেই দেখা গিয়েছে আজ বৃহস্পতিবার করোনা রুখতে স্বাস্থ্য় দফতের নিয়ম মেনে স্য়ানিটাইজার দিয়ে হাতের জীবাণু মুক্ত করতে এবং তারই সঙ্গে মাস্ক ব্য়বহার করতে।  

আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় নয়া নির্দেশিকা, প্রতিটি হাসপাতালে ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড


রাজ্যে করোনার আতঙ্ক অব্যাহত। করোনা থেকে বাঁচতে সতর্ক হল এবার কলকাতার একাধিক থানা। কলকাতার নিউ আলিপুর থানায় মুখে মাস্ক পরে এবং 'হ্যান্ড স্যানিটাইজেসন' করছে প্রত্যেক পুলিশ কর্মী। স্বাস্থ্য় দফতরের নির্দেশিকা মেনেই থানায় ঢোকার আগে ভালো করে ধুয়ে নিচ্ছেন হাত, প্রতেক পুলিশ কর্মী। কারণ কলকাতায় ইতিমধ্য়েই করোনা থাবা বসিয়েছে। রাজ্য়ের প্রথম করোনা আক্রান্ত এই মুহূর্তে আইডি-র বিশেষ আইসোলেশনে ভর্তি। তবে তার মা-বাবা এবং গাড়ির চালকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্য়ে সরকারি আমলার ছেলের শরীরে  করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার পরেই জোরকদমে চলছে স্বাস্থ্য় দফতরের যাবতীয় আপৎকালীন ব্য়বস্থার প্রস্তুতি। আর সেই কারণেই করোনা রুখতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠকেও বসছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

আরও পড়ুন, রাত পেরোলে চড়তে পারে পারদ, উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক থেকে ইতিমধ্য়েই রাজ্য় এবং সংস্থাকে আগাম করোনা ভাইরাস নিয়ে আগাম সতর্কতা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়াম, থিয়েটার, সিনেমা হল সহ সব জায়গাতেই কোনওরকম জমায়েতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।  এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ১৪১ টি দেশে কামড় বসিয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা। এক লক্ষ পচিশহাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। চিনে মৃতের সংখ্যা সাড়েতিনহাজার ছাড়িয়েছে। ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে দেড়শো ছাড়িয়েছে। তারই সঙ্গে আজ করোনা আক্রান্ত চতুর্থজনের মৃত্য়ু হয়েছে। তাই করোনা মোকাবালিয় কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পুলিশ-প্রশাসন।

আরও পড়ুন, আপাতত স্বস্তি, করোনা আক্রান্তের বাবা-মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ