সংক্ষিপ্ত

মুকুলের দলত্যাগের বিষয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, বিধানসভার বিষয়ে স্পিকারের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করা যায় না, এই যুক্তি দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মুকুল রায় (Mukul Roy) বিধায়ক (MLA) থাকবেন কিনা, তাঁর পদের বৈধতা নিয়ে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার (Speaker of the West Bengal Legislative Assembly) স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। সোমবার একথা বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিষয়টি মিটমাট করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) বিজেপির (BJP) টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর (krishnanagar North) আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল। এরপরই তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। আর তা নিয়েই শুরু হয় যাবতীয় বিতর্ক। তারপর মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (Public Accounts Committee) চেয়ারম্যান করা হয়। তার মাধ্যমে বিতর্ক আরও বেড়ে যায়। এরপরই মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে হাইকোর্টের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পাল্টা এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ। আর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ জানুয়ারি। তার মধ্যেই এনিয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- 'মুখ্যমন্ত্রীর অভিনয়ের জন্য আমরা হয়তো অস্কার পেতাম', মমতাকে কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলের নিয়োগ সম্পূর্ণ ‘অবৈধ’। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল বিজেপি। আসলে এনিয়ে প্রথম থেকেই আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় মামলা করেছিলেন। এরপর মুকুলের দলত্যাগের বিষয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, বিধানসভার বিষয়ে স্পিকারের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করা যায় না, এই যুক্তি দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুন- এবার ত্রিপুরাতে রক্ত ঝরল সাংবাদিকের, ফের আক্রান্ত তৃণমূলও

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের আবেদন নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিচারপতি এল নাগেশ্বর ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের কথা জানিয়ে টুইট করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, "বিচার আবার জয়ী হল...সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মুকুল রায়ের দলত্যাগ কার্যক্রম বিলম্বিত করার জন্য স্পিকারের কাছে আর কোনও পথই খোলা থাকল না। ২০১১ সালের পর এই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

 

 

আরও পড়ুন- ৪ দিনের জন্য দিল্লি সফরে মমতা, ফের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ছিল মুকুলের। এমনকী, দলীয় কর্মসূচিতেও যোগ দিচ্ছিলেন না তিনি। তারপরই আচমকা তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হয় তাঁর। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় বিজেপি। গত ১৭ জুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু। 

YouTube video player