সংক্ষিপ্ত

  • মোদীর জনতা কারফিউকে ব্যাঙ্গ করেছেন অনেকেই
  • কেবল হাততালি দেওয়ার উদ্য়োগ বলেছেন বিরোধীরা
  •  এই নিয়ে ভাষণ বনাম রেশনের তর্কে নেমেছে বামেরা
  • যদিও মোদীর এই উদ্য়োগকে স্বাগত জানালেন সৌরভ 
     

মোদীর জনতা কারফিউকে কেবল হাততালি দেওয়ার উদ্য়োগ বলেছেন অনেকেই। প্রধানমন্ত্রীর জনতা কারফিউ নিয়ে ভাষণ বনাম রেশনের তর্কে নেমেছে বামেরা। যদিও মোদীর এই উদ্য়োগকে স্বাগত জানালেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। 

'মহারাজ'ও এবার ঘরবন্দি, করোনা আতঙ্কে দিলেন বিশেষ বার্তা.

টুইটারে সৌরভ জনতা কারফিউয়ের হয়ে প্রচারে নেমেছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, ২২ মার্চ আমরা সবাই একসঙ্গে এই দিবস পালন করব। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সবাই ঘরে থাকুন। ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্ব থমকে যেতে চলেছে।  আসুন আমরা সবাই মিলে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করি। 

বিদেশের কোনও যোগ নেই, চতুর্থ করোনা আক্রান্ত দমদমের বাসিন্দা.

বৃহস্পতিবারই রাত আটটার সময় করোনা নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩২৫জন৷ এঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন পাঁচ জন৷ আগামী সপ্তাহ থেকে এই মারণ ভাইরাস ভারতে বেশি করে ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় রবিবার অর্থাৎ ২২ মার্চ দেশ জুড়ে ‘জনতা কার্ফু’র কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ মোদী বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন করব,রবিবার দেশজুড়ে জনতা কার্ফু পালন করুন৷ জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাড়ি থেকে কেউ ঘর থেকে বেরোবেন  না৷ রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমরা জনতা কার্ফু পালন করব৷

pic.twitter.com/jfJmhlvhLg

— Sourav Ganguly (@SGanguly99) March 21, 2020 "

 

আরও এক করোনা আক্রান্ত রাজ্য়ে, সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চার.

বিকেলে কাসর ঘণ্টা বাজিয়ে স্বাস্থ্য়  বিভাগের কর্মীদের বারান্দা বা ছাদ থেকে অভিবাদন জানাবো। যারা কেবল আমাদের জন্য় নিজেদের জীবন বিপন্ন করে এই কাজ করে চলেছেন, এবার তাদের এই কাজকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পালা। যদিও মোদীর এই আহ্বান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এর মাধ্য়মে কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। 

এদিকে মোদীর জনতা কারফিউ নিয়ে প্রশ্ংসা করেছেন খোদ তাঁর সমালোচকরাও। অতীতে সিএএ নিয়ে মোদীর কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাবানা আজমি। তিনি নিজেও এই জনতা কারফিউয়ের প্রশংসা করেছেন। খোদ মোদী বিরোধীরা বলছেন, দেশ যখন করোনার ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে তখন সবাইকে একত্রিত করে মনোবল জোগাচ্ছেন মোদী। এই উদ্য়োগে ঘর থেকে না বেরোনোয় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় কম থাকবে।