সংক্ষিপ্ত
- করোনা রুখতে রাজ্য় জুড়ে লকডাউন চলছে
- চালু আছে শুধু জরুরী পরিষেবামূলক বিশেষ ট্রেন
- এদিকে এক স্বাস্থ্য় কর্মীকেই উঠতে দেওয়া হয়নি
- সরকারি অনুমতি সত্ত্বেও তাঁকে বাঁধা দেওয়া হয়।
করোনা রুখতে রাজ্য় জুড়ে লকডাউন চলছে। চালু আছে শুধু জরুরী পরিষেবামূলক বিশেষ ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারি অনুমতি থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার সকালে এক স্বস্ত্রীক স্বাস্থ্য়কর্মীকে উঠতে দিল না বনগাঁ থেকে শিয়ালদাগামী বিশেষ ট্রেন।
আরও পড়ুন, লকডাউন কেড়ে নিল এক দুঃস্থ ব্যক্তির প্রাণ, সাউথ পোর্ট থানা এলাকায় চাঞ্চল্য
শুক্রবার ভোরে ওই স্বাস্থ্য়কর্মী দম্পতি বনগাঁ স্টেশনে উপস্থিত হন। ওই স্বাস্থ্য়কর্মী জানান, সরকারি অনুমতি থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে ওই জরুরী পরিষেবার বিশেষ ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি। বহুবার বলেও উপস্থিত রেলকর্মী সহ আরপিএফ কেউ তাদের সাহায্য়ের হাত এগিয়ে দেননি বলে অভিযোগ দম্পতির। আরও জানান যে, ওই বিশেষ ট্রেনটির সকাল ৬টা ১৫ নাগাদ ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর অনেকআগেই ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর তিনি স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে কথা বললে, স্টেশন মাস্টার সাফ জানিয়ে দেন 'ট্রেনটি কখন ছাড়া হবে সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্য়াপার' , এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য়কর্মী। এদিকে লকডাউন পরিস্থিতিতে করোনা আতঙ্ক সরিয়ে রেখেও পৌছতে পারলেন না জরুরী পরিষেবায়, আফশোষ করেন ওই স্বাস্থ্য়কর্মী।
আরও পড়ুন, লকডাউনে জরুরি পরিষেবা দিতে সরকারির সঙ্গে চলবে ২২ বেসরকারি বাস, জানুন বিস্তারিত
অপরদিকে পূর্ব-রেলের মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী এই বিষয়ে জানান, 'বনগাঁ থেকে সকালের ওই শিয়ালগামী ট্রেনটি শুধুমাত্র রেলে কর্মীদের জরুরী পরিষেবা দেবার জন্য়। তাই সরকারি অনুমতি থাকলেও রেলের কর্মী না হলে কাউকে জরুরী পরিষেবা দেওয়া যাবে না।' তিনি আরও জানান যে 'আউটসাইডার'দের জন্য় ওই বিশেষ ট্রেনটি পরিষেবা দেবে না। উল্লেখ্য় রানাঘাট স্টেশনেও এক সহকর্মীর সঙ্গে সকালবেলা একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ওই স্বাস্থ্য়কর্মী।
আরও পড়ুন, এবার নিজের খরচে হোটেলেও থাকা যাবে কোয়রান্টিনে, জানাল স্বাস্থ্য দফতর