সংক্ষিপ্ত
- ঘূর্ণিঝড় যশ চলে যেতেই বেরোল ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ অবস্থা
- 'প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি'
- বৃহস্পতিবার নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
- 'সম্পূর্ণ ব্যর্থ' বলে মমতার সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর
ঘূর্ণিঝড় যশ চলে যাওয়ার পর বেরিয়ে এল ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ অবস্থা বাংলার। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, যশে এ রাজ্য়ে ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর এমনই একদিনে দিলীপ-রাজ্যপাল ঘূর্ণিঝড়ে মমতার কাজ নিয়ে প্রশংসা করলেও নিশানা করতে ছাড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, বাংলায় ফের টর্নেডো, লন্ডভন্ড অশোকনগর, আশ্রয়হীন বহু মানুষ
এদিন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। পরে ফিল্ডে গিয়ে খতিয়ে দেখলে আসল ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। সরকারি তথ্যের উপরে ভিত্তি করে এটা দেখা গিয়েছে। তবে এরপর ফিল্ডে গিয়ে সার্ভে হবে। জল না নামলে সেটা সম্ভব নয়। তাই একটু দেরি হবে।' উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামীকাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের আগে বৃহস্পতিবার ওল্ড দিঘার সরকারী অতিথিশালা 'দীঘি'- তে প্রশাসনিক বৈঠক করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সেই বৈঠকে জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজী, জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ সহ জেলা বিভিন্ন পদাধিকারীরা। বৈঠক শেষে জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজী জানান, 'জেলার ২৫ টি ব্লকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
আরও পড়ুন, গঙ্গার জলস্তর হতে চলেছে প্রায় ১৮ ফুট, প্রবল বর্ষণে আজ ভাসতে চলেছে কলকাতা
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানালেন,' ঘূর্ণিঝড় যশ এর মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। শুভেন্দু অধিকারী জানালেন,' রাজ্য সরকার যশ বিপর্যয়ের সাত থেকে আট দিন আগে থেকেই এই বিপর্যয় এর ব্যাপারে অবগত ছিল। এবং যে উপকূলবর্তী এলাকায় নদী বাঁধের অবস্থা শোচনীয় তাও মেরামত করতে অক্ষম রাজ্য সরকার।' আরও বলেন.' বিজেপির বিধায়কদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। এই বিপর্যয় এ রাজ্যসরকার এর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে তারা সম্পূর্ণ রূপে তৈরি।'