সংক্ষিপ্ত
বাংলার ট্যাবলো বাতিলের পর একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছেন বাংলার তৃণমূল নেতারা। এবার ট্যাবলো পুরষ্কার ঘোষণার পরেও ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার নেতাজি ট্যাবলো বাতিলের পর একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছেন বাংলার তৃণমূল নেতারা (TMC leaders of Bengal)। এবার ট্যাবলো পুরষ্কার ঘোষণার (tableau award announcement) পরেও ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে(Kolkata Mayor Firhad Hakim)। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারকে পক্ষপাতদুষ্ট সরকার বলেও তোপ দাগলেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দিল্লিতে ট্যাবলো প্রদর্শনীতে উত্তরপ্রদেশ প্রথম হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই ফিরহাদের দাবি, ট্যাবলো নিয়ে রাজ্য বিশেষ মাথা ঘামাতে চায়না।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পরিবহণমন্ত্রী ও তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, এই কেন্দ্রীয় সরকার হচ্ছে পক্ষপাতিত্বের কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ এদের কোন রীতি নীতি নেই। জ্ঞান নেই, সৌজন্যবোধ নেই কিচ্ছু নেই।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিল্লির রাজপথে বাংলার ট্যাবলো না থাকলেও, রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দেখা যায় নেতাজির ট্যাবলো। এই প্রেক্ষাপটেই শুক্রবার ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয় যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের এক জেলা, এক উৎপাদ ও বারাণসীর কাশী-বিশ্বনাথ ধামের ইতিহাস সম্বলিত ট্যাবলো। যা নিয়ে বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- BF-GF ছাড়া ঢোকা যাবে না যাদবপুরের 'ভ্যালেন্টাইন ফেস্টে', 'নোটিশ' ঘিরে জোর চর্চা
অন্যদিকে রাজ্যপাল প্রসঙ্গেও এদিন কড়া বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, "রাজ্যপাল বাংলাকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি বিজেপি মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সে সময় তাঁকেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল। আদালতে পর্যন্ত গিয়েছিল বিষয়টি। পরবর্তীতে রাজ্যপাল আর কাজে যোগ দেননি সৌজন্যতা দেখিয়ে। সেই সৌজন্যতা নেই।"
আরও পড়ুন- ভুয়ো লোন কার্ড তৈরি করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
অন্যদিকে পুরভোট উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যে নির্বাচনী আচরণ বিধি শুরু হয়েছে। কিন্তু গতকাল নেতাজী ইনডোরে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিক প্রধান। তাই তিনি ডিএম এসপি কেনো যে কাউকে নির্দেশ দিতে পারেন কাজের গতি আনতে।"
আরও পড়ুন- গৃহবধূকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন, কাঠগড়ায় স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন