সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয়কে ফেজ টুপি পরে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছিল। তবে বিজেপিতে থাকাকালীন কোনও টুপি পরতে দেখা যায়নি তাঁকে। ফলে দলবদলের সঙ্গে সঙ্গে যে তাঁর পোশাকেও পরিবর্তন এসেছে তা কারও চোখ এড়ানি। আর এবার তা নিয়েই কটাক্ষ করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।
কয়েক মাস আগেই পরিস্থিতিটা অন্যরকম ছিল। তখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Abhishek Banerjee) নাম করে নিশানা করতেন তিনি। আর এখন তিনি নিজে বালিগঞ্জ বিধানসভা (Ballygunj Assembly Election) থেকে তৃণমূলের প্রার্থী (TMC Candidate) হিসেবে লড়াই করছেন। ১২ এপ্রিল এই কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। আর তার জন্য রবিবাসরীয় সকালেই প্রচারে নেমে পড়লেন বাবুল সুপ্রিয়। সম্প্রতি তাঁকে ফেজ টুপি (Fez Hat) পরে বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছিল। তবে বিজেপিতে (BJP) থাকাকালীন কোনও টুপি পরতে দেখা যায়নি তাঁকে। ফলে দলবদলের সঙ্গে সঙ্গে যে তাঁর পোশাকেও পরিবর্তন এসেছে তা কারও চোখ এড়ায়নি। আর এবার তা নিয়েই কটাক্ষ করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)।
রবিবার প্রাতঃভ্রমণে (Morning Walk) বেরিয়ে এনিয়ে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই সবে টুপি পরলেন, লুঙ্গি কবে পরতে চলেছেন সেটা জানাবেন। কে জোকার সে তো বোঝাই যাচ্ছে। যারা রোজ পার্টি বদলায়। আমরা আদর্শ নিয়ে আছি। তিনি হেরে গিয়েছেন সব জায়গায়। এখন কোনওরকমে মন্ত্রীত্ব পাওয়ার তালে আছেন। তাঁর কিছু চাই না। একটি মন্ত্রীত্ব চাই, গাড়ি চাই। আর সিকিউরিটি চাই। এটাই জীবনের লক্ষ্য ওনার।" অবশ্য বাবুলের সঙ্গে যে দিলীপের সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয় সেকথা আগে থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বিজেপিতে থাকাকালীনই দিলীপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বাবুল। আর এখন দু'জনেই দুই শিবিরে।
আরও পড়ুন- ৭০ থেকে ৯০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', ১৩২ বছরে কখনও এরকম হয়নি
এদিকে এদিন রবিবাসরীয় প্রচারে বের হন বাবুল সুপ্রিয়। পার্ক সার্কার্স ময়দানে প্রচার সারেন তিনি। প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গেও তাঁকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও পরিচিত হন তিনি। এদিন তাঁকে উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। শুধু তাই নয় ফুটবল খেলতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন- কয়লাপাচারকাণ্ডে ফের সস্ত্রীক অভিষেককে তলব ইডি-র, সোমবারই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূলের যুবরাজ
তবে আজ প্রাতঃভ্রমণে শুধুমাত্র বাবুলকে কটাক্ষ করেই থেমে থাকেননি দিলীপ। দুই কাউন্সিলরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, "আমাদের একটু চোখে বেশি পড়ছে জেলায় জেলায় যে ধরনের অসামাজিক কাজ কারবার শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের কোথাও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাই রাজ্যের মানুষকে এখানকার গুন্ডাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। একই দিনে দু'জন কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। হোলির দিন, পরের দিন চলছে প্রকাশ্যে দিনের বেলা গুলি চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ কার পিছনে পিছনে দৌড়াচ্ছে সবাই জানে। যারা এই সব কাজ করছে তারা কেউ ধরা পড়ছে না। আর পুলিশ খালি বিরোধীদের ধরার চেষ্টা করছে।"
আরও পড়ুন- 'শত্রুঘ্ন-ঝড়ে উড়ে যাবে অগ্নিমিত্রা', 'বন্ধু'-কে খোঁচা দিয়ে শহরে ভোট প্রচারে বাবুল
রানাঘাটে বিধায়কের উপর হামলা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, "দু'দিন আগেই আমাদের উপর জেলা প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবের উপর আক্রমণ হয়েছে কালকে জগন্নাথ সরকারের উপর আক্রমণ হয়েছে আমরা দেখছি। দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছে সেখানে সুরক্ষিত কে সরকারি যারা মন্ত্রী বিধায়করা রাজ্য সরকার তাদেরকে সিকিউরিটি দিয়ে দিচ্ছে কত জন নেতাকে মন্ত্রীকে সিকিউরিটি দেওয়া সম্ভব সাধারণ মানুষের কি হবে।"