সংক্ষিপ্ত

হোস্টেলের খাবারে পুষ্টির অভাব? কিছু সুপারফুড সমাধান করতে পারে। জেনে নিন কোন সাশ্রয়ী ও পুষ্টিকর খাবার হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি।

পড়াশোনা বা চাকরির জন্য বাড়ি থেকে হোস্টেলে বা পিজিতে থাকতে শুরু করলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য, ওজন এবং শরীরের উপর অনেক প্রভাব পড়ে। হোস্টেল যতই ব্যয়বহুল হোক না কেন, বাড়ির খাবারের মতো পুষ্টি পাওয়া যায় না। আজকের এই লেখায় আমরা আপনাদের কিছু সুপারফুড সম্পর্কে বলব, যা হোস্টেলে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের অবশ্যই খাওয়া উচিত। এগুলি এমন খাবার যা তাদের বাজেটের মধ্যেই পড়বে এবং তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে।

হোস্টেলে থাকলে অবশ্যই এই খাবারগুলি খান

সিদ্ধ ডিম:

প্রতিটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি পেশীকে শক্তিশালী করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি যোগায়। তাই শিক্ষার্থীদের সকালের নাস্তায় সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত।

 

ঘি:

রুটি, পরোটা বা খাকারার উপর ঘি মাখিয়ে খান। এটি শরীরকে শক্তি এবং পুষ্টি যোগায়। শরীরের শক্তির জন্য ঘি ডাল বা ভাতের সাথেও খেতে পারেন।

কলা:

সকালের নাস্তায় কলা রাখুন। এটি পেট ভরার পাশাপাশি দ্রুত শক্তি যোগায়। আপনি ঘি দুধের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন, এটিও খুব স্বাস্থ্যকর।

পনির:

পনির একটি চমৎকার প্রোটিনের উৎস। এটি সরাসরি খান অথবা অন্য কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খান। আপনি চাইলে ঘিয়ে ভেজেও খেতে পারেন।

সালাদ:

শসা এবং টমেটোর সালাদ প্রতিদিন খান। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। সালাদে আপনি পেঁয়াজ, মূলা, গাজর এবং বিটও রাখতে পারেন।

ওটস:

প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস একটি স্বাস্থ্যকর এবং পেট ভর্তি নাস্তা। আপনি এতে কিছু সবজি সেদ্ধ করেও মিশিয়ে খেতে পারেন।

বাদাম এবং দুধ:

দুধের সাথে বাদাম খান। এটি দ্রুত শক্তি যোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খান, এটি আপনাকে সুস্থ রাখবে।

 

মুগডাল এবং ছোলা:

এগুলি সাশ্রয়ী এবং পুষ্টিকর খাবার। এগুলি খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। ছোলা ভিজিয়ে এবং মুগডাল ভেজে খেতে পারেন।

স্মার্ট টিপস:

অ断食: খাওয়ার সময় সীমিত করে হজমশক্তি উন্নত করুন। এটি আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

খাওয়ার পর হাঁটা: এটিকে অভ্যাস করুন, এতে হজমশক্তি ভালো হয়। প্রতিদিন ১০-২০ মিনিট হাঁটুন।