তরমুজ খাওয়ার পর তার সাদা অংশটি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন তরমুজের খোসার মালাই ।

তরমুজ আমাদের খুবই প্রিয় একটি ফল। তরমুজ যেরকম বাচ্চারা পছন্দ করে তেমন বড়রাও খুব পছন্দ করে। তরমুজ দিয়ে কি না হয়, তরমুজ এমনি গোটা কেটে খান অথবা তরমুজের শরবত অথবা সব রকম ফলের সাথে ফ্রুট সালাড অথবা ওয়াটার মিলন স্মুদি অথবা ফ্রুট কাস্টার্ডও আমরা বানিয়ে থাকি।

কিন্তু কেউ কখনো ভেবেছেন কি এই তরমুজের লাল অংশটা খেয়ে আমরা তার নিচের মোটা সাদা অংশটা ফেলে দি আর সেটা দিয়েই হতে পারে আরো নানারকম প্রিপারেশন? আজকে তাহলে আমরা দেখব ওই সাদা অংশটা না ফেলে ওটা দিয়ে একটা নতুন রেসিপি কি করে বানানো যায়। তরমুজের ভেতরের লাল অংশটা খাওয়া হয়ে গেলে আমরা সাধারণত তরমুজ এর বাকি অংশটা নষ্ট করে দি। কিন্তু এবার থেকে সেটা ফেলে না দিয়ে আমরা খুব সহজেই তৈরী করে নিতে পারি সুস্বাদু " তরমুজের খোসার মালাই"।

উপকরণ :- 

* তরমুজ মেজারমেন্ট কাপের ২ কাপ 

* আদা বাটা ১ চা চামচ 

* কাঁচা লঙ্কা বাটা ১ চা চামচ 

* রাঁধুনি বাটা ১ টেবিল 

* গোটা জিরে ১ চা চামচ 

* মেথি ১/২ চা চামচ 

* শুকনো লঙ্কা ২ টি 

* তেজপাতা ২ টি 

* নুন ও চিনি স্বাদমতো 

* হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ 

* জিরে গুঁড়ো ১/২ চা চামচ 

* আটা ১ চা চামচ 

* ঘি ১ চা চামচ 

* ভাজা মশলা ১/২ চা চামচ 

* ঘন দুধ ১/২ কাপ 

* সর্ষের তেল পরিমাণমতো

প্রণালী :-
প্রথমে তরমুজ ওপর থেকে সবুজ খোসার অংশ টা ভালো করে বাদ দিতে হবে। তারপর ভেতরের সাদা অংশ টা খুব ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে দিতে হবে জিরে , মেথি, শুকনো লঙ্কা আর তেজপাতা ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন টাকে ৩০ সেকেন্ড ফ্রাই করে তরমুজের টুকরো গুলো দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে দিতে হবে স্বাদমতো নুন ও জিরে গুঁড়ো ।এরপর ঢাকা দিয়ে লো - ফ্লেমে রান্না করতে হবে প্রায় ১০-১২ মিনিট। এরপর ঢাকা খুলে আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা ও রাঁধুনি বাটা দিয়ে আরও ৭-৮ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে। এরপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে সেদ্ধ হতে দিতে হবে প্রায় ৮-১০ মিনিট। খুব ভালো করে সেদ্ধ হয়ে গেলে ১ চামচ আটা ঘন করা দুধের সাথে ভালো করে গুলে নিয়ে গ্ৰেভির মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এরপর ২-৩ মিনিট হাই - ফ্লেমে রান্না করে নিতে হবে। এরপর গ্যাস বন্ধ করে ভাজা মশলা আর ঘি ছড়িয়ে দিলেই পরিবেশন এর জন্য তৈরী হয়ে যাবে "তরমুজের খোসার মালাই"।এটি গরম ভাতের সাথে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে।