খাদ্য তালিকায় যদি প্রতিদিন একটি করে কলা রাখা যায় তাহলে তা শরীরের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। মানুষের শরীরে কলা সেবনের উপকারিতা অনেক। 

কলা একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং সারা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬, এবং ভিটামিন সি। প্রতিদিন যদি একটি করে কলা খান তাহলে হজমশক্তি বাড়ে, হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। কলায় থাকা পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

প্রতিদিন একটি করে নিয়মিত ভাবে কলা খাওয়ার উপকারিতার তালিকায় দেখতে পাবেন এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি করছে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করছে, শক্তি বৃদ্ধি করছে, কিডনি সুস্বাস্থ্যও বৃদ্ধি করে। এবার কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলি বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

হজমশক্তি বৃদ্ধি: কলায় থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং মানব শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

শক্তি বৃদ্ধি: প্রতিদিন রোজ একটি করে কলা সেবনে শরীরে শর্করা বৃদ্ধি পায় ও কার্বোহাইড্রেট এবং আঁশের একটি দারুণ উৎস হলো কোলা। যা শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়।

হৃদপিণ্ডের সুস্বাস্থ্য: প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে বা দুপুরে লাঞ্চের পরে একটা কলা খাওয়া যেতেই পারে।এতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: কলাতে থাকা ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং সেরোটোনিন ও ডোপামিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা মানুষের মন মেজাজ সতেজ রাখে।

কিডনির স্বাস্থ্য: কলাতে থাকা পটাশিয়াম কিডনির ওপর চাপ কমিয়ে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কলায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পেশি শক্তিশালী করে: নিয়মিত একটি করে কলা সেবনে পেশি শক্তিশালী হয়।

ত্বকের জন্য উপকারী: কলা রূপচর্চা ও শরীর চর্চা উভয় ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কলা ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী হতে পারে। অনেক সময় পাকা কলা দিয়ে বিভিন্ন রকম ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাকও বানানো যায়। তাই কলা খাওয়া এবং বাহ্যিক সৌন্দর্যতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী।