ডায়বেটিস রোগীদের জন্য সেরা এবং উপকারী জুস! প্রথমবার থেকেই মিলবে ফল
- FB
- TW
- Linkdin
স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু জুস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই জুসগুলি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
এই জুসগুলি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া, এই জুসগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে। এগুলি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই জুসগুলি সম্পর্কে।
কুমড়োর জুস
কুমড়োর জুস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ এই জুসে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি খুবই কম থাকে। কম কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে এটি পান করলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে না।
এছাড়াও, এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। এটি পান করলে আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কুমড়ো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে মিক্সারে বেটে জুস তৈরি করুন। চাইলে স্বাদের জন্য এই জুসে লেবুর রস এবং সামান্য লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।
পালং শাকের জুস
পালং শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। পাশাপাশি, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুবই কম। পালং শাক সালাদ হিসেবে, সবজি হিসেবে অথবা জুস করেও খাওয়া যায়।
পালং শাকে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এমন কিছু উপাদান রয়েছে। এই জুস পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পালং শাকের জুস তৈরি করতে পালং শাক ভালো করে ধুয়ে নিন।
এবার ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করুন। চাইলে স্বাদের জন্য এই জুসে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসে ভিটামিন সি থাকে। এটি আয়রন শোষণে সাহায্য করে।
সবুজ আপেলের জুস
আপেলে প্রাকৃতিক শর্করা বেশি থাকে। তবে সবুজ আপেলে অন্যান্য ফলের তুলনায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমাণে আঁট থাকে।
এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, সবুজ আপেলের জুস পান করলে আপনার শরীর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান পায়। এই জুস তৈরি করতে সবুজ আপেল মিক্সারে বেটে ছেঁকে নিন।
বিটরুট জুস
বিটরুট জুস খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই এটি পান করা উচিত। কারণ বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে আঁট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
বিটরুট অন্যান্য সবজির তুলনায় কিছুটা বেশি শর্করা ধারণ করে। তবে, এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে আঁট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।