দিন দিন লাফিয়ে দাম বাড়ছে ডিমের। এদিকে রোজ রোজ ডিমের ঝোল কিংবা ডিম কষা এক ধরনের খাবার খেয়ে মুখ পচে গিয়েছে! এবার নয় স্বাদ বদল করুন। মাত্র তিন মিনিটে রেঁধে ফেলুন ডিমের এই সুস্বাদু পদটি।
ডিম পছন্দ করেন না সেই তালিকাটা বোধহয় অমেকটাই কম। ডিম পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। বাঙালি বাড়ির হেঁশেলে ডিমের পদ নিত্যনৈমিত্তিক। সেটা সকালের খাওয়া হোক বা চটজলদি খুদের টিফিনে বানিয়ে দেওয়া, ডিমের উপর আস্থা রাখতে হয় কমবেশি সকলকেই। কম দামে যথেষ্ট পুষ্টি, সঙ্গে স্বাদ, দুইয়ে মিলে ডিমের আদর তুঙ্গে।
তবে, ডিম মানেই সেই চেনাপরিচিত পোচ, ওমলেট বা কারি, ঝোল নয়। বরং ডিমকে এখন কন্টিনেন্টাল পদেও বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিমের প্রতি ভোজনরসিকের দুর্বলতা চিরকালীন। ডিমের ঝোল-ঝাল-এগ রোল কোনও কিছুতেই আপত্তি থাকে না ভোজন রসিকদের। তাই আজকে খুব সহজ একটি ডিমের রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে আবার হাজির হলাম দেখে নিন উপকরণ ও পদ্ধতি!
উপকরনসমূহ :
* ডিম : ৬টি
* কুচোনো টম্যাটো: ১টি, স্লাইস করা
* পেঁয়াজ: ১টি বড়ো
* থ্যাঁতলানো রসুন: ৩ কোয়া
* দারচিনি: ১ ইঞ্চি
* এলাচ: ১টি
* লবঙ্গ:১টি
* টম্যাটো সস: ১/২ টেবিল চামচ
* দুধ: ১ কাপ
* ধনেপাতা কুচি:১ মুঠো
* ভালো ঘি অথবা বাদাম তেল: ১ টেবিল চামচ
* গোটা গোলমরিচ: ৭-৮টি
* নুন, চিনি: আন্দাজমতো
প্রণালী:
প্রথমে ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর গোটা গরমমশলা থেঁতলে নেবেন। দুধ ও টম্যাটো সস ভালো করে একসঙ্গে ফেটিয়ে রাখুন। এবার তেল বা ঘি গরম করে ডিমগুলো নুন মাখিয়ে অল্প ভেজে তুলুন। ওই তেলে গোটা গোলমরিচ এবং গরম মশলা ফোড়ন দিন।
এবারে পেঁয়াজ ও রসুন ভাজবেন। ভাজা হলে টম্যাটো দিয়ে ভাজুন। সঙ্গে নুন-মিষ্টি দিন। টম্যাটো শুকনো হলে তাতে ডিম দিন এবং দুধের মিশ্রণ ঢেলে রান্না করুন। ডিমের ঝোল মাখামাখা হলে নামিয়ে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। কম সময়েই তৈরি হয়ে গেল ডিমের এই সুস্বাদু পদটি। হাতে অল্প সময় থাকলেও আরামসে বানিয়ে নিতে পারবেন।

