খাওয়ার টেবিলে আস্ত এক ফুলকপির রোস্ট সাজানো। মস্ত এক লাল ফুলের মতো শোভা পাবে এই পদ। শীতের মরসুমি সব্জি দিয়ে এমন এক রান্না স্বাদেও যেমন, রূপেও তেমন। ঠান্ডার সময়ে বাড়িতে অতিথি আগমন হলে খুব সহজে রেঁধে খাওয়াতে পারেন ফুলকপির রোস্ট।
শীতের মরসুমে আপনার রান্নাঘরে ফুলকপি রান্না হবে না তা হয়? তবে আপনি কি জানেন এই ফুলকপির স্বাস্থ্য গুণও অনেক। এই সবজির মধ্যে মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে এই ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ওজনও কমায়। সুতরাং ফুলকপিকে খাদ্যতালিকায় রাখলে উপকার হবে আপনারই।
কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যাঁরা এই ফুলকপির তরকারি খেতে খুব একটা ভালবাসেন না। তাছাড়া ফুলকপির নিত্যনতুন রান্না করাও সম্ভব নয়। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল ফুলকপির একটি চটকদার রেসিপি। এর নাম ফুলকপির রোস্ট। যাঁরা এই সবজি দেখলে নাক সিটকান, তাঁরা চেয়ে খাবে আপনার তৈরি এই পদ। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করবেন এই পদ..
আস্ত ফুলকপির রোস্টের রেসিপি :
উপকরণ:
১. মাঝারি আকারের ১টি ফুলকপি
২. ৪টি বড় পেঁয়াজ (বেটে রাখা)
৩. ৪টি টম্যাটো ছোট ছোট টুকরো করে কাটা
৪. আধ টেবিল চামচ আদাবাটা
৫. ১ চা চামচ গরমমশলার গুঁড়ো
৬. ১ টেবিল চামচ কাঁচা লঙ্কাবাটা
৭. ১ টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো
৮. ৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
৯. স্বাদমতো নুন
প্রণালী: একটি মাঝারি আকারের ফুলকপি নিয়ে সেটির গোড়া কেটে নিন। দেখবেন, যেন একটিও ফুল বেরিয়ে না আসে। তার পর এক বাটি ঈষদুষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখুন কপিটি। যাতে ভিতরের ময়লা আলগা হয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। ফুলকপি ধোয়া হয়ে গেলে ঝাঁজরিতে রেখে জল ঝরিয়ে নিন।
অন্য দিকে কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজবাটা ঢেলে দিন। একই সঙ্গে গরমমশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। কেউ কেউ গোটা গরমমশলাও দিতে পারেন। মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ কষাতে থাকুন। বেশ খানিকটা পরে তাতে আদাবাটা মিশিয়ে দিন। কেউ কেউ এতে রসুনকুচিও যোগ করেন। তবে রসুন ছাড়াও সুস্বাদু হতে পারে এই রান্না। বেশ খানিক ক্ষণ কষানোর পর তেল ছাড়তে শুরু করবে, সে সময়ে ফুলকপিটি সোজা করে বসিয়ে দিতে হবে কড়াইয়ের মাঝখানে। চারপাশ দিয়ে টম্যাটোর টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। অল্প নুন ছড়িয়ে দিন। ঢিমে আঁচে রান্না হতে থাকুক। এই সময়ের মধ্যে টম্যাটো জল ছাড়তে শুরু করবে।
প্রায় ১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ফুলকপিটি উলটে দিন। অর্থাৎ ফুলের দিকটি চলে যাবে নীচের দিকে। যতটুকু জল ছেড়েছে, তা দিয়েই সব্জি সেদ্ধ হবে। আলাদা করে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই এই সময়ে।
আরও ১৫ মিনিট পর ফের কপিটি উলটে দিন। সেদ্ধ হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। মাঝে মাখে খুন্তি দিয়ে অল্প অল্প নাড়াচাড়া করতে হবে যাতে কড়াইয়ে লেগে না যায়। আরও বেশ খানিক ক্ষণ পরে তেল ছাড়তে শুরু করলে গরমমশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে গ্যাস নিভিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
