সংক্ষিপ্ত

পৌষমাস মানেই বাঙালির হেঁশেলে পিঠে-পায়েসের গন্ধ। অতি সহজে মা-ঠাকুমার হাতের চিতই পিঠে তৈরি করে নিতে বেশি সময় লাগবে না আপনারও। 

শীতকালের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বাঙালির ভুরিভোজ। পৌষ মানে কি শুধুই মেলা? একদমই নয়। পৌষ মাস মানে কফি, কেক, কমলালেবুর সঙ্গে হেঁশেলে ভুরভুর করে পিঠে, পায়েস, পাটিসাপটার গন্ধও। গোকুল থেকে ভাপা, ঘরে ঘরে মা-ঠাকুমাদের হাতের রকমারি পিঠের নামধাম যেন এক চাঁদবুড়ির পসরা। তেমনই এক সুস্বাদু পিঠে হল দুধ চিতই। এই সহজ পিঠে ঘরে বসে তৈরি করতে পারবেন আপনিও। 

উপকরণ:
১) চালের গুঁড়ো তিন কাপ
২) ময়দা এক কাপ
৩) বেকিং পাউডার ১/২ চামচ
৪) হালকা গরম জল
৫) নুন
৬) সর্ষের তেল 
৭) খেঁজুর গুড়
৮) ২ লিটার দুধ
৯) গুড়া দুধ ১ কাপ
১০) কনডেন্স মিল্ক ১/২ কাপ
১১) ঘি ২ টেবিল চামচ
১২) তেজপাতা ২টি
১৩) এলাচ ২টি

পদ্ধতি:

চালের গুঁড়োর সঙ্গে ময়দা, নুন ও বেকিং পাউডার ভালো করে মিশিয়ে একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। এবার হালকা গরম জল অল্প অল্প করে দিয়ে একটি ডো তৈরি করুন। আরও একটু জল দিয়ে পাতলা মিশ্রণ তৈরি করুন। তবে, মিশ্রণটি যেন বেশি পাতলা বা বেশি ঘন না হয়। মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে ১০ মিনিট রেস্টে রাখুন। 

উনুনে কড়াই দিয়ে হালকা গরম করে তার ওপর সামান্য সর্ষের তেল ব্রাশ করে দিন। এরপর ওই মিশ্রণটি ছোট একটা কাপে ঢেলে সেটি কড়াইয়ে ঢেলে দিন। একটি ঢাকনা দিয়ে কড়াই ২ থেকে ৩ মিনিট ঢেকে দিন। এতে পিঠে ফুলে উঠবে। এরপর কড়াই থেকে পিঠে তুলে ফেলুন।

-

চিতই পিঠে তৈরি হলে কাঁচি বা ছুরি দিয়ে সমানভাগে এক একটি পিঠেকে চার ভাগ করুন।  একটি পাত্রে খেঁজুর গুড়, নুন আর জল মিশিয়ে অল্প আঁচে গরম করে তরল করে নিন। গুড় গরম হয়ে গেলে আলাদা কোনও জায়গায় রেখে দিন। 

এবার আরেকটি পাত্রে ২ লিটার দুধ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, কনডেন্সমিল্ক ১/২ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি, এলাচ ২টি, সামান্য নুন দিয়ে আঁচে বসিয়ে দিন। দুধ গরম হয়ে ঘন হয়ে এলে ধীরে ধীরে গরম করে রাখা গুড়ের তরলটি তাতে মিশিয়ে নিন। তারপর পিঠেগুলো দিয়ে তিন মিনিট অপেক্ষা করুন। এভাবে খেজুর গুঁড়ের দুধ চিতই তৈরি করলে দুধে কখনও ছানা কেটে যাওয়ার ভয় থাকে না। বাড়িতে শীতের মরসুমে এভাবেই তৈরি করতে পারবেন জিভে জল আনা খেঁজুর গুড়ের রসালো দুধ চিতই পিঠে।