Special Fish Recipe: প্রতিদিন একঘেয়ে মাছের ঝোল রান্না করছেন? এই বর্ষার দিনে স্বাদ বদল করতে চাইলে আজই রেঁধে ফেলুন মাছের এই রেসিপি। জানুন বিশদে…
Special Fish Recipe: বাঙালি কথাটা শুনলেই সবার আগে যে বিষয়টি মাথায় আসে সেটি হল- মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালি অথচ মাছ খেতে ভালোবাসেন না এমন লোক কিন্তু খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। তবে অবশ্যই আছে নিরামিষভোজী। যদিও মাছ-ভাত মানেই কিন্তু আজও বহু বাঙালির কাছে তৃপ্তির ঢেঁকুর। মাছ দিয়েই যেন অনায়াসে একথালা ভাত খেয়ে ফেলা যায়। যদিও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদল এসেছে এই মাছ রান্নার। এখনকার দিনে মাছের পাতলা ঝাল-ঝোল থেকেই ফিসকারি, ফিস তন্দুরিতেই যেন আট থেকে আশি বেশি আকৃষ্ট। তবে আজকে আপনাদের সঙ্গে এমন একটা মাছের রেসিপি শেয়ার করব যেটা যেকোনও সাধারণ বাঙালি বাড়িতে দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে একেবারে দারুণ জমে যাবে।
তাহলে আসুন জেনে নিই কীভাবে রান্না করবেন তিল আর দই দিয়ে পার্শে মাছের ঝোল।
তিল-দই দিয়ে পার্শে মাছ রান্না করতে যে উপকরণগুলি লাগবে সেগুলি হল-
পার্শে মাছ ৫-৬টা
সাদা তিল ২ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা ২টো
নুন-চিনি স্বাদমতো
মেথি হাফ চামচ
টকদই ২ চামচ
তেল পরিমাণ মতো।
রান্নার প্রণালী:-
তিল-দই দিয়ে পার্শে মাছ রান্না করতে গেলে যে যে প্রণালী আপনাকে অনুসরণ করতে হবে তা হল-
প্রথমেই পার্শে মাছ ভালো করে কেটে ধুয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। এরপর শিলনোড়া অথবা মিক্সিতে কাঁচালঙ্কা, সাদা তিল ভালো করে বেটে নিন। বাটা হয়ে গেলে তা আলাদা করে একটি বাটিতে বা পাত্রে তুলে রাখুন। এবার কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে দিন। তেল ভালো করে গরম হয়ে গেলে তাতে মাছ ছেড়ে দিয়ে ভালো করে এপিঠ-ওপিঠ ভেজে তুলে রাখুন। এবার ওই তেলে মেথি ফোড়ন দিন। ফোড়নের সুগন্ধ বেরলে তিলবাটা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে ফেটানো টকদই দিন কড়াইতে। এরপর আন্দাজমতো নুন-হলুদ ও কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে সমস্তটা কষিয়ে নিন।
যতক্ষণ না কড়াইতে তেল ছাড়ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কষাতে থাকুন। এবার তেল ছাড়লে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিন। এবার গ্যাসের ফ্লেম কমিয়ে দিয়ে হালকা আঁচে রান্না করুন। চাইলে ঝোলটাা ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। এরপর ঝোল গা-মাখা হয়ে আসলে তাতে মাছ ছেড়ে দিন। পার্শে মাছগুলো ঝোলে সেদ্ধ হয়ে গেলে কড়াইতে উপর থেকে এক চামচ সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে ফেলুন। এবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন তিলবাটা আর টকদই দিয়ে পার্শের মাছের এই সুস্বাদু রেসিপি। তাহলে আর দেরি কেন? ছুটির দিন হোক কিংবা বাড়িতে লোকজন আসলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন মাছের এই রেসিপিটি। প্রিয়জনের ভালো লাগতে বাধ্য।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


