পুজো কালের দিনে খুব অল্প সময় বাড়িতে ডিম থাকলে তাই দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ডিমের শাঁসরাঙা।
পুজোর সময় আমরা প্রত্যেকেই চাই ঘরে বাইরে ভালো-মন্দ খাব। সেক্ষেত্রে পুজোর সময় তো আর কোন কিছু খাওয়াতে মন বাঁধ মানতে চায় না। ছোট বড় সবাই আমরা তখন সবকিছু ভুলে গিয়ে পুজোর কটা দিন হেসে খেলে আনন্দ করে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুরে বেড়াই।
মাছ মাংস ডিম তো প্রায়ই খাওয়া হয়, প্রত্যেকের বাড়িতে। তবে এই তিনটে জিনিস বাড়িতে আসলে ওই একই ধরনের খাবার রান্না করা হয়। ওই একই মাছের ঝাল আর ডিমের ঝোল বা মাংসের কষা বা মাংসের বিভিন্ন প্রিপারেশন ছাড়া আমরা কোনো রকম ফিউশন বানানোর কথা মাথায় আনি না।
কিন্তু গরম ভাতের সঙ্গে সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে ডিমের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না করতে পারেন। যা অল্প সময়ে তৈরি হয়। এর পাশাপাশি এই রান্নাটি আগেকার দিনে বনেদি বাড়িতে তৈরি করা হতো বলে জানা যায়। তারমানে আগেকার দিনেও একঘেয়ে ঝাল বা ঝোল খেয়ে খেয়ে মনটা চাইত নিশ্চয়ই কিছু অন্যরকম খাওয়ার। তাহলে আসুন আজ পুরনো দিনেরই ঝলক নিয়ে কয়েকটি উপকরণ দিয়ে রেঁধে ফেলুন ‘ডিমের শাঁসরাঙা’।
এই রান্নাটি একদমই স্বাদে আলাদা, ঝোল-ঝাল-কষা ছাড়া ডিমের শাঁসরাঙা। বাড়িতে ডিম থাকলে, তা দিয়েই রান্না করা যায় এই প্রিয়ারেশন টা। সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন বনেদি পরিবারের রান্না। এই রান্নাটি করতে সামান্য কিছু উপকরণ লাগবে।
ডিমের শাঁসরাঙা রান্নাটির উপকরণ ও পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল:
উপকরণ:
* মুরগি বা হাঁসের ডিম ৫টি
* ঘি ২ টেবিল চামচ
* ২টি পেঁয়াজ কুচি
* পেঁয়াজ বাটা ২টেবিল চামচ
* কয়েকটি ছোট এলাচ
* লবঙ্গ
* দারচিনি
* আধ টেবিল চামচ আদা বাটা
* আধ টেবিল চামচ রসুন বাটা
* সাদা তেল
* ৩-৪টি কাঁচালঙ্কা
* এক চা-চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
* আধ চা-চামচ ধনে এবং জিরেগুঁড়ো, এক চা-চামচ হলুদগুঁড়ো
* স্বাদমতো নুন
* নারকেলের দুধ দু’কাপ
* ধনেপাতা কুচি
প্রণালী: প্রথমে ডিমগুলোকে ফাটিয়ে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম আলাদা করে নিন। এরপর দুটোকে আলাদা আলাদা ভাবে রাখুন। তারপর ডিমের সাদা অংশে নুন দিয়ে ভালো করে ফাটিয়ে বড় কড়াইতে তেল গরম করে অমলেট এর মতন করে ভেজে নিন। এরপর ছুটি দিয়ে দুই ইঞ্চি টুকরো করে কেটে নিন। অপরকে কড়াইতে সাদা তেল ও ঘি গরম করুন। লাল করে পেঁয়াজ কুচি ভেজে তুলে রাখুন। এরপর কড়াইতে আরও কিছুটা তেল দিয়ে তাতে গরম মশলা ফোঁড়ন দিন। এরপর তাতে পেঁয়াজ বাটা যোগ করুন। পেঁয়াজ বাটা একটু ভেজে তাতে বাদবাকি বাটা মশলা ও পরিমাণমতো নুন হলুদ দিন। এরপর তার মধ্যে সমস্ত গুঁড়ো মশলাগুলো দিয়ে দিন। তারপর কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমাণ মতন জল দিন। জলটা ফুটে উঠলে যোগ করুন নারকেলের দুধ। মিশ্রণটি ফুটে গেলে ভেজে রাখা ডিমের সাদা অংশ গুলো দিয়ে দিন। এরপর ধীরে ধীরে ডিমের কুসুমগুলি একে একে ঝোলের ওপরে ছেড়ে আঁচ কমিয়ে ভাপে সেদ্ধ হতে দিন। তারপর নামিয়ে উপর দিয়ে ধনেপাতা ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।


