সংক্ষিপ্ত
মানবদেহের প্রতিটি ফলই সময় অনুযায়ী প্রয়োজন, সঠিক সময়ে এগুলো খেলেই আমরা সর্বোচ্চ উপকার পেতে পারি। আসুন জেনে নেই কোন ফল কখন খাওয়া উচিত।
আমরা সবসময়ই আমাদের বড়দের কাছে শুনে আসছি যে সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের স্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়া উচিত। এতে টাটকা ফলকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফলের মধ্যে অনেক ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরকে নানাভাবে উপকার করতে কাজ করে। মানবদেহের প্রতিটি ফলই সময় অনুযায়ী প্রয়োজন, সঠিক সময়ে এগুলো খেলেই আমরা সর্বোচ্চ উপকার পেতে পারি। আসুন জেনে নেই কোন ফল কখন খাওয়া উচিত।
১) সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর-
আপনি যখন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার শরীরের pH এর ভারসাম্য বজায় রাখেন, তখন পেঁপে খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এতে উপস্থিত ফাইবার আমাদের মেটাবলিক রেট বাড়াতে পারে, যা হজমশক্তিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২) সকালের জলখাবার-
সকালের জল-খাবারে আপেল একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, সেই সঙ্গে আপেল খেলে ভিটামিন-এ এবং ফাইবার পাওয়া যায়। এটি সাধারণত প্রাতঃরাশের সময় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৩) সকালের সকালের জল-খাবারে পর
যদি আপনি হালকা সকালের জল-খাবার করে থাকেন এবং আপনার ক্ষুধা না মেটে, তাহলে আপনি কাস্টার্ড আপেল খেতে পারেন। এতে শরীরে ফাইবার ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে।
৪) সকাল ১০ থেকে ১১ টার মধ্যে
আমাদের এমন ফল খাওয়া উচিত যা সাইট্রাস ফলের শ্রেণীতে রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কমলা ও মিষ্টি মুসম্বী ফলও আছে। যারা এটি খান তারা ভিটামিন সি এবং ডি পান।
৫) দুপুরের খাবারের পর-
দুপুরের খাবারের পর কলা খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়, এতে খাবার সহজে হজম হয়, সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ফোলা সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- আলঝেইমারের উপসর্গের ১০ বছর আগে রোগটি সনাক্ত করা যায়, জানাচ্ছে গবেষণা
আরও পড়ুন- ডিমের এই অংশ স্বাস্থ্যের জন্য বিষের মত, এই ৫ সমস্যায় এটি খাওয়া এড়িয়ে চলুন
৬) সন্ধ্যায়-
আপনি সন্ধ্যায় ক্ষুধার্ত বোধ করেন, আপনার মনে হয় জলখাবার খেতে, এই সময়ে ডালিম খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এতে শরীরে ফাইবার, আয়রন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে। এর কারণে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং তারপর রাতে বেশি খাবার খাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৭) রাতে ঘুমানোর আগে-
কিউই একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল যা রাতে ঘুমানোর আগেও খাওয়া যেতে পারে। এটিকে অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে সেরোটোনিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আরামদায়ক ঘুম হতে সাহায্য করে।