সংক্ষিপ্ত
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী পান্তা ভাত। শরীরের হাড় শক্ত রাখতেও এই সাধারণ খাবার অত্যন্ত সহযোগী।
ভারত, বাংলাদেশ সহ যেসব দেশে প্রচুর ধান উৎপন্ন হয়, সেখানে মূলত ভাতই প্রধান খাবার। এসব জায়গায় আবহাওয়া খুব গরম এবং আর্দ্র হওয়ার কারণে ভাত খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এই নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে ভাতে জল মিশিয়ে সংরক্ষণের জন্যই পান্তা ভাতের প্রচলন হয়েছিল। সারা রাত ধরে ভাতে জল ঢেলে ঢাকা দিয়ে রাখা পান্তা ভাত খুব সাধারণ এবং প্রচলিত একটি খাবার হলেও এই শারীরিক উপকারিতা রয়েছে অনেক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী পান্তা ভাত। জল দিয়ে রাখার কারণে ভাতের ভেতরে একটি রাসায়নিক ফেনা উৎপন্ন হয়, যে প্রক্রিয়ার দ্বারা ভাতের ভেতরে থাকা কার্বোহাইড্রেট ভেঙে যায়। ভাতের মধ্যে থাকা অ্যান্টি নিউট্রিশনাল ফ্যাক্টরগুলির ক্ষয় হয় এবং ভাতটা যথেষ্ট আর্দ্র থাকে। সাধারণ ভাতের তুলনায় পান্তা ভাতে প্রচুর পুষ্টিকর খনিজ পদার্থ থাকে। যেমন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, ফসফরাস, ভিটামিন বি, ইত্যাদি। ১০০ মিলিগ্রাম সাধারণ ভাতে আয়রন থাকে ৩.৫ মিলিগ্রাম, ওই ভাতই ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩.৯ মিলিগ্রামে।
পান্তা ভাত মানব দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের হাড় শক্ত রাখতে ক্যালশিয়ামের প্রয়োজন, শরীরের এনজাইমকে শক্তিশালী করে তোলে ম্যাগনেসিয়াম, এগুলি পান্তা ভাতে বিপুল পরিমাণে পাওয়া যায়। পান্তা ভাতে থাকে বিটা- সিটোস্টেরল ও কেম্পেস্টেরলের মতো মেটাবলাইট, যেগুলি শরীরের ব্যথা-বেদনা কমাতে সহায়তা করে। এগুলি কোলেস্টেরল কমাতেও বিশেষ সহযোগী। আইসোরহ্যামনেটিন- সেভেন- গ্লুকোসাইড- ফ্ল্যাভোনয়েড, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়ক, তা-ও পাওয়া যায় পান্তা ভাতের মধ্যে। অর্থাৎ, চূড়ান্ত দাবদাহের মধ্যে পান্তা ভাত শুধু সাময়িকভাবে শরীরকেই ঠাণ্ডা করে না। এটি মানুষের শরীরকে বিশেষভাবে পুষ্টি যোগায় ও শক্তিশালী করে তোলে।
আরও পড়ুন-
অমিত শাহের বঙ্গ সফরের সূচিতে বড় পরিবর্তন, সিউড়ির জনসভার পরেই কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তীব্র গরমে ফুটছে বাংলা, ঠাণ্ডা থাকবেন কীভাবে? বিশেষ পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বীরভূমে সিক্স প্যাক অ্যাবস নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল, টোটোর পেছনে অভিনব কার্টুন ছবি