রুই মাছের ঝোল বা ঝাল খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেলে এই রেসিপিটি করে দেখুন। শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে রুই মাছের ঝালের স্বাদ অতুলনীয়।
বাঙালির পাতে মাছ না থাকলে রসনায় তৃপ্তি আসে না। এছাড়া ওপার বাংলার মানুষ তো একটা মাছ দিয়ে প্রায় অনেক রকম রকমারি রান্না এনে সাজিয়ে দেবেন। তাই রুই মাছের এই প্রিপারেশন টা চটজলদি বানিয়েই ফেলুন।
রুই মাছ আমরা কম বেশি সকলেই ভালবাসি। কিন্তু এক ঘেয়ে যদি ঝোল বা ঝাল খেয়ে বিরক্ত হয়ে যান তো এই রেসিপি টা করে দেখুন। বিশেষ করে পুরনো দিনের যে সব রান্না রয়েছে, তা এখন হারিয়েই যেতে বসেছে। এর মধ্যেই একটি লঙ্কা পোড়া রুই। ওপার বাংলার খুবই জনপ্রিয় একটি রান্না।
শুকনো লঙ্কা পুড়িয়ে বেটে তা দিয়ে গায়ে মাখা রুই মাছের ঝালের স্বাদ গরম ভাতে সে এক অতুলনীয় স্বাদ। রান্নার প্রণালী ওপার বাংলার হলেও, এ পারেও রুই মাছের এই রান্নাটির বেশ কদর রয়েছে। স্বাদ বদলাতে রুই মাছের এই প্রিপারেশন টা রেঁধে দেখতেই পারেন। রান্নায় কি কি লাগছে নিচে তার উপকরণ ও প্রণালী দেওয়া হলো।
উপকরণ
* চার পিস রুই মাছ
* ৩-৪টি শুকনো লঙ্কা
* ১টি গোটা পেঁয়াজবাটা
* এক চামচ আদাবাটা
* ১ চামচ গোটাজিরে
* ১টি গোটা টম্যাটো টুকরো করে কাটা
* আধ চামচ হলুদগুঁড়ো
* আধ চামচ হলুদগুঁড়ো
* সর্ষের তেল
* নুন স্বাদমতো
প্রণালী
প্রথমে মাছের টুকরোগুলি নুন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন। এর পর শুকনো কড়ায় শুকনো লঙ্কাগুলি ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। পোড়া গন্ধ বার হলে সেগুলি তুলে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। অল্প জল দিয়ে লঙ্কাগুলি বেটে রাখুন। আদা, পেঁয়াজ, গোটা জিরে অল্প জল দিয়ে বেটে নিন। মশলা বাটা হয়ে গেলে মাছগুলি ভাল করে ভেজে নিন। ওই তেলেই প্রথমে পোড়া লঙ্কার বাটা দিন। আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন। তাতে আদা-পেঁয়াজ-জিরে বাটা দিয়ে সামান্য নুন ও হলুদ দিয়ে কষান। মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে তাতে টম্যাটোকুচি দিয়ে ঢেকে দিন। মশলা কষে গেলে তাতে মাছভাজাগুলি দিয়ে অল্প জল দিন। এই রান্না গায়ে মাখা হয়, তাই জল বুঝে দিতে হবে। ঝোল শুকিয়ে এলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতে পরিবেশন করুন।


