সংক্ষিপ্ত

আপনি বাড়িতেও শিশুদের জন্য আইসক্রিম তৈরি করতে পারেন। আপনি ফল দিয়ে শিশুদের জন্য আইসক্রিমও তৈরি করতে পারেন। এই আইসক্রিমটি যেমন সুস্বাদু তেমনি খুবই স্বাস্থ্যকর।

বাড়িতে আইসক্রিম বানানো খুব সহজ, কিন্তু আমরা অনেকেই বাইরের মত আইসক্রিম বানাতে পারি না। যদি আপনারও একই অবস্থা হয়, তবে কুছ পরোয়া নেই। এই রেসিপিটি দিয়ে আপনি মাত্র ১০ মিনিটে সুস্বাদু আইসক্রিম তৈরি করতে পারেন। গরমের মৌসুমে ঠান্ডা খাবারের স্বাদই আলাদা। এই ঋতুতে এই জিনিসগুলি আপনাকে স্বস্তি দিতে কাজ করে। আপনি খুব সতেজ বোধ করেন আইসক্রিম খেলে। গরমকালে মানুষ আইসক্রিমও উপভোগ করে।

বিশেষ করে শিশুদের আইসক্রিমের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। গরমে আইসক্রিম খেতে সবাই পছন্দ করে। আবহাওয়া যাই হোক না কেন, কিন্তু রাস্তায় আইসক্রিম খেতে আমরা ভুল করি না। তবে খুব বেশি আইসক্রিম খাওয়াও আমাদের গলার জন্য ভালো নয়। নিয়মিত আইসক্রিম খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধির সমস্যাও দেখা দেয়। তাই বাড়িতে আইসক্রিম বানিয়ে বাচ্চাদের পরিবেশন করাই ভালো।

অতিরিক্ত আইসক্রিমও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি বাড়িতেও শিশুদের জন্য আইসক্রিম তৈরি করতে পারেন। আপনি ফল দিয়ে শিশুদের জন্য আইসক্রিমও তৈরি করতে পারেন। এই আইসক্রিমটি যেমন সুস্বাদু তেমনি খুবই স্বাস্থ্যকর।

আমের আইসক্রিম

গ্রীষ্মকাল আমেরও মৌসুম। এমন পরিস্থিতিতে আম দিয়ে তৈরি আইসক্রিমও উপভোগ করতে পারেন। এর জন্য আম, দুধ ও চিনি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ছাঁচে ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ সেট হতে দিন। এরপর এই আইসক্রিমটি বাচ্চাদের পরিবেশন করুন।

তরমুজ আইসক্রিম

তরমুজের আইসক্রিমও বানাতে পারেন। এই আইসক্রিমটি তৈরি করতে আপনার লাগবে দই, দুধ, চিনি, তরমুজ, এক চিমটি লবণ এবং এলাচের গুঁড়ো। এই সব জিনিস একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি আইসক্রিমের ছাঁচে ঢেলে দিন। এতে স্টেক দিন। কয়েক ঘন্টা সেট করার জন্য ফ্রিজে রাখুন। কিছুক্ষণ সেট করার পর এই আইসক্রিমটি পরিবেশন করুন। শিশুরা সত্যিই তরমুজ দিয়ে তৈরি এই আইসক্রিম পছন্দ করবে।

বেরি আইসক্রিম

বেরি স্বাদ এবং স্বাস্থ্য পূর্ণ। বেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বেরির মধ্যে রয়েছে ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্ল্যাকবেরির মতো বেরি। এই বেরিগুলিকে সামান্য চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করুন। এই মিশ্রণটি আইসক্রিমের ছাঁচে ঢেলে দিন। এতে স্টেক দিন। আইসক্রিম কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। এর পরে এই আইসক্রিমটি উপভোগ করুন। এছাড়াও বেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও বেরিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। বেরি খেলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।